April 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, October 7th, 2021, 7:41 pm

সিনেমার শুটিং করতে মহাকাশে শিল্পীরা

অনলাইন ডেস্ক :

মহাকাশে বহু চমক দেখিয়েছে মানুষ। সেখানে আস্ত একটা সিনেমা তৈরি করে নতুন চমক দেখানোর পরিকল্পনা কয়েক দিন আগেই ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। ঘোষণা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার রাশিয়ার একজন অভিনেত্রী ও একজন পরিচালক আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছেন। মহাকাশে একেবারে ভরশূন্য অবস্থায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শুটিং করবেন তাঁরা। কাজাখস্তানের বৈকানুর কসমোড্রোম থেকে সয়ুজ এমএস-১৯ মহাকাশযানে চেপে খ্যাতনামা রুশ অভিনেত্রী জুলিয়া পেরেসলিদ, রুশ মহাকাশচারী ও অভিনেতা অ্যান্টন স্কাপলেরভ এবং পরিচালক-প্রযোজক ক্লিম শিপেংকো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেন। পৃথিবীর বাইরে গিয়ে প্রথম নির্মিতব্য ওই চলচ্চিত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘চ্যালেঞ্জ’। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীকে নানা কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে থাকা মহাকাশ স্টেশনেই হবে সেই পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শুটিং। হলিউডের একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে মহাকাশে একটি সিনেমার শুটিং করা হবে বলে গত বছর ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ‘মিশন ইমপসিবল’ সিরিজের সিনেমার শুটিংয়ের জন্য জনপ্রিয় মার্কিন অভিনেতা টম ক্রুজকে মহাকাশে পাঠানোর কথাও জানানো হয়েছিল। এজন্য নাসা এবং ধনকুবের এলন মাস্কের স্পেসএক্স একসঙ্গে কাজ করছে। কলাকুশলীদের নিয়ে চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য হলিউডের অভিনেতা টম ক্রুজের মহাকাশে যাওয়ার কথা নভেম্বরে। তার আগেই মহাকাশে চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য লোক পাঠানোর পদক্ষেপ নিল রাশিয়া। পরিচালক শিপেংকো জানিয়েছেন, তাঁদের চলচ্চিত্রের নাম ‘চ্যালেঞ্জ’। রুশ ভাষায় ‘ভাইজভ’। গল্পে কোনো স্পেস ওয়ার বা মহাকাশযুদ্ধের ছিটেফোঁটাও নেই হলিউডে বানানো বেশির ভাগ কল্পবিজ্ঞানভিত্তিক চলচ্চিত্রের মতো। বরং সেই চলচ্চিত্রে থাকছে মাটির গন্ধ, মনুষ্যত্বের রং। এক সাধারণ মানুষকে নিয়েই গল্প, যে একজন শল্যচিকিৎসক। কোনো দিন স্বপ্নেও ভাবেনি যে সে মহাকাশে যাবে। সেই তাকেই হঠাৎ মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হলো। বলা হলো, চাইলে যেতে পারে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। রাজি হয়ে গেল সেই চিকিৎসক। মহাকাশ স্টেশনে গিয়ে সে এক মহাকাশচারীর জীবন বাঁচিয়ে দিলে। কিভাবে, তা নিয়েই টান টান গল্প। সঙ্গে মহাকাশ স্টেশনের ভরশূন্য অবস্থায় থাকার স্বাভাবিকতা। সূত্র : রয়টার্স।