অনলাইন ডেস্ক :
যে কোনো দেশের রাষ্ট্রপতির জন্য সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী করা হয় তার বাসভবনে। বাংলাদেশেও এমনটা দেখা গেছে অতীতে। তবে ব্যতিক্রম নজির তৈরি করলেন বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বঙ্গভবনে বসে নয়, দেশের একটি ব্যস্ততম মাল্টিপ্লেক্সে গিয়ে সিনেমা দেখলেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। শো’টি মাহামান্যর জন্য সংরক্ষিত ছিলো। ফলে আমন্ত্রিতদের বাইরে আমজনতা এই শো দেখার সুযোগ পায়নি। বিশেষ এই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায়। রাজধানীর মহাখালীস্থ এসকেএস টাওয়ারে স্টার সিনেপ্লেক্সে স্ত্রী-সন্তানসহ হাজির হন রাষ্ট্রপতি। এরপর উপভোগ করেন ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া আলোচিত সিনেমা ‘প্রিয়তমা’। কারণ, ছবিটি প্রযোজনা করেছেন রাষ্ট্রপতির একমাত্র পুত্র আরশাদ আদনান।
বিশেষ এই প্রদর্শনীতে আরও উপস্থিত ছিলেন ছবির নায়ক শাকিব খান, নির্মাতা হিমেল আশরাফ, সুরকার প্রিন্স মাহমুদ, গীতিকবি সোমেশ্বর অলি, অভিনেত্রী তারিন, নুসরাত ফারিয়া, এলিনা শাম্মী, গায়ক রিয়াদসহ সিনেমা সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে। ‘প্রিয়তমা’ দেখার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। জড়িয়ে ধরেন নায়ক শাকিব খানকে। এমন ঘটনায় আপ্লুত শাকিবও। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সেই মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার করে এই নায়ক লিখেছেন, “মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গতকাল শুক্রবার রাতে ‘প্রিয়তমা’ দেখেছেন এবং আমার ও পুরো টিমের প্রতি দারুণ উৎসাহ প্রকাশ করেছেন।” এদিকে নির্মাতা হিমেল আশরাফ বললেন, ‘এক জীবনে আমার আর কী চাওয়ার থাকতে পারে।
বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার পরিবার নিয়ে বঙ্গভবন থেকে সিনেমা হলে এসে আমার সিনেমা উপভোগ করছেন, তার পাশে বসে আমি আমার সিনেমা দেখছি, বড় পর্দায় এত গণ্যমান্য মানুষের সঙ্গে আমার নাম দেখছি, এক জীবনে পরিচালক হিসেবে আর কী চাইতে পারি!’ উল্লেখ্য, প্রয়াত ফারুক হোসেনের গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘প্রিয়তমা’। এতে শাকিবের নায়িকা কলকাতার ইধিকা পাল। এছাড়াও আছেন লুৎফর রহমান জর্জ, শহীদুজ্জামান সেলিম, কাজী হায়াৎ শিবা শানু, এলিনা শাম্মী, ডন প্রমুখ। প্রযোজনা করেছে আরশাদ আদনানের প্রতিষ্ঠান ভার্সেটাইল মিডিয়া। ছবিটি দুই মাস ধরে এখনও দেশের প্রেক্ষাগৃহে চলছে। এ ছাড়া বিদেশেও সাড়া পেয়েছে বেশ। বর্তমানে মালয়েশিয়ার প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে ছবিটি।
আরও পড়ুন
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু
নেপালে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১৯২