March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, July 20th, 2022, 7:45 pm

সিনেমা প্রচারে নেই শিল্পী সমিতির নেতারা, ক্ষুব্ধ সংশ্লিষ্টরা

অনলাইন ডেস্ক :

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে কম আলোচনা-সমালোচনা হয়নি। দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এই নির্বাচন। ওই সময় অনেক প্রার্থীই বলেছিলেন নির্বাচনে বিজয়ী হলে চলচ্চিত্র শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবেন। একইসঙ্গে চলচ্চিত্রের অচলাবস্থা কাটিয়ে তুলতে ব্যক্তিগত-সাংগঠনিকভাবে কাজ করে যাবেন তারা। নির্বাচনের পর বিজয়ী অনেকেই সশরীরে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার প্রচারে নেমেছিলেন। এমনকি শিল্পী সমিতি ঈদের শুভেচ্ছা কার্ডে সিনেমার পোস্টার দিয়ে বাংলা সিনেমা দেখার আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিষয়টি সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর ৭ মাস পার হতেই দেখা গেলো উল্টো চিত্র। সিনেমার প্রচার তো দূরের কথা দুই একজন নেতা মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার সমালোচানা করে নিজেকে জাহির করার চেষ্টায় ব্যস্ত। বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছে না সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। এবার ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে তিনটি সিনেমা। যার মধ্যে অনন্ত জলিলের বড় বাজেটের সিনেমা ‘দিন দ্য ডে’, শরিফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিমের ‘পরান’ ও রোশান পূজা চেরির ‘সাইকো’। কিন্তু এসব সিনেমার প্রচারে ইলিয়াস কাঞ্চন ছাড়া দেখা যায়নি বর্তমান কমিটির নির্বাচিত কোনো নেতাকে। এনমকি ‘দিন দ্য ডে’র নায়ক অনন্ত জলিল সিনেমাটি দেখাও জন্য শিল্পীদের দাওয়াত করলেও সেখানে সেখানে তাদের উপস্থিত লক্ষ করা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন অনন্ত জলিল। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রযোজক ইকবাল। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি গঠনই হয়েছে চলচ্চিত্রের জন্য। এখন বাংলাদেশের সিনেমার নাজুক অবস্থা। এই সময় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি যদি শিল্পীদের সঙ্গে না থাকে তাহলে সিনেমা আরও ধ্বংসের দিকে যাবে। আমার মনে হয়, রেষারেষি, হিংসা বিদ্বেষ বাদ দিয়ে শিল্পী সমিতির সবাইকে সিনেমার জন্য এগিয়ে আসা উচিত।’ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য শিল্পী সমিতি কী কাজ করেছে? এখন যারা কমিটিতে আছে তারা নিজেদের কাজ ছাড়া অন্য কারো জন্য কাজ করেনি। মূলত যারা সিনেমার জন্য কাজ করেন তারা সমিতিতে নেই। যেমন আলমগীর সাহেব। তবে চলচিত্রের সেবাও হলো সমাজ সেবা। ডাকলে যাবো, না-ডাকলে যাবো না; এমন মানসিকতা দূর করতে হবে। যারা শিল্পী সমিতির দায়িত্বে আছেন, দেশের সিনেমা বাঁচানোর জন্য হলেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিঃসার্থে কাজ করা উচিত।’ শিল্পী সমিতির ক্রিড়া সম্পাদক মামনুল ইমন বলেন, ‘দুই মেয়াদে আমি শিল্পী সমিতির একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমার জায়গা থেকে আমি দুই মেয়াদে কাজ করেছি। ঈদের রোজার ঈদে যে সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছি সেগুলো প্রচারে কাজ করেছি। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকার কারণে আমি এবারের ঈদের সিনেমার প্রচারে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে সিনেমার প্রচার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, আমি জানি না। ১৭ তারিখে আমি দেশে এসেছি। যে তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তিনটিই আমি দেখবো।’ ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সদস্যদের ঈদ কার্ড পাঠিয়েছে। সেখানে ঈদের সিনেমা তিনটির প্রচারণা করেছেন তারা। কার্ড সিনেমা দেখার আহ্বান করে প্রশংসার কুড়িয়েছিল শিল্পী সমিতি। এবার সেটা দেখা যায়নি। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিরি সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক বলেন, ‘এবারের ঈদে শিল্পী সমিতি সিনেমা প্রচারে নেই বললেন ভুল হবে। ঈদ করার জন্য আমি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরেছি আজ ভোরে। সেখান থেকে ফেসবুকে পোস্টে প্রচারণা করেছি। এ ছাড়া শিল্পী সমিতির যারা নেতৃত্বে আছেন তাদের কাছে যদি সিনেমার প্রযোজকরা পাশে থাকার আহ্বান জানালে আমরা পাশে থাকবো। আর যদি ওই সিনেমার সংশ্লিষ্টরা না চায় তাহলে আমরা নিজে থেকে গিয়ে কি প্রচারণায় নামা ঠিক হবে? অনন্ত জলিল ভাই আমাকে সিনেমা দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু আমি ভাইকে বলেছি, গ্রামের বাড়িতে থাকার কারণে অনুষ্ঠানে থাকতে পারবো না।’