November 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, February 26th, 2023, 9:53 pm

সিন্ডিকেটের কারসাজিতে লবণের নিম্নমুখী দামে লোকসানের শঙ্কায় চাষীরা

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :

লবণের নিম্নমুখী দামে লোকসানের শঙ্কায় চাষীরা। চাষীদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণেই লবণের দাম কমছে। আর বিসিক সংশ্লিষ্টদের মতে, লবণের উৎপাদন ও সরবরাহ ভালো থাকায় কমছে লবণের দাম। মৌসুমের শুরুতে কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ ও চকরিয়াসহ উপকূলের লবণচাষীরা ভালো দাম পেলেও হঠাৎ দরপতনে শঙ্কিত চাষীরা। সম্প্রতি লবণের মণপ্রতি বাজারদর কমে অর্ধেকেরও নিচে নেমেছে। একজন চাষীর প্রতি মণ লবণ উৎপাদনে ব্যয় হয় ৩১৭ টাকা। লবণের দাম মণপ্রতি ২৬১ টাকায় নেমে আসায় চাষীদের ৫৬ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। বিসিক এবং লবণচাষীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীরা লবণের দাম অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। এমন পরিস্থিতিতে চাষীরা উৎপাদন ব্যয় বিবেচনা করে বাজারদর নির্ধারণ এবং লবণ শিল্পকে বাঁচাতে আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। বর্তমানে কক্সবাজারে প্রতি মণ লবণ গড়ে ২৬১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ মৌসুমের শুরুতে মণপ্রতি দাম ছিল ৪৮০-৫২০ টাকা। লবণ চাষের সব উপকরণের দাম বাড়তির মধ্যে দাম অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় লবণ বিক্রি করে চাষীদের পুঁজিও উঠবে না। তবে লবণ আমদানি না করলে চাষীরা খেয়ে-পরে বাঁচতে পারবেন। না হলে মাঠের লবণ মাঠে পড়ে থাকবে। সূত্র জানায়, বিগত ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলে ৬ লাখ ৫৪ হাজার টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। মাঠে মজুদ আছে ১ লাখ ৮৮ হাজার টন। কিন্তু কয়েকদিনের ব্যবধানেবা মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম মণপ্রতি কমেছে প্রায় সাড়ে ৩০০ টাকা। অথচ এর আগে ৮০ কেজি বস্তার লবণের দাম ছিল ৮০০ টাকা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশীয় লবণ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। কক্সবাজার ও বাঁশখালীর কিছু অংশ নিয়ে প্রায় ৫৭ হাজার ২৭০ একর জমিতে অন্তত ৫৫ হাজার মানুষ লবণ চাষে জড়িত। বাজারে এমন পতনের ফলে ওসব মানুষের আয়ে টান পড়বে। এদিকে লবণচাষী ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শহীদুল্লাহ জানান, চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়ায় লবণ উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু মিলমালিক বিদেশী লবণ আমদানিতে ব্যর্থ হয়ে সিন্ডিকেট করে চাষীদের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করছে। তারা চাষীদের লবণ চাষে অনুৎসাহিত করে বিদেশী লবণের ওপর দেশকে নির্ভরশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অন্যদিকে এ বিষয়ে বিসিক কক্সবাজার শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভুঁইয়া জানান, চাষীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।