বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতিতে পরিচালিত বাংলাদেশ শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে। যাতে প্রতিটি দেশ নিজেদের সম্পদ ও শক্তি ব্যবহার করে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে।
শুক্রবার ভারতের সিমলায় ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ আয়োজিত ‘ভারতের জন্য বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপের দশম রাউন্ডের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন। শনিবার দুই দিনের এ সংলাপ শেষ হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরস্পারিক স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের অংশীদারদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
মানুষে মানুষে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিনি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপ হলো এমন একটি ফোরাম যাতে উভয় দেশের প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা থিঙ্কট্যাঙ্ক এবং সুশীল সমাজসহ মূল স্টেকহোল্ডারদের একত্র করা হয়।
২০১৯ সালে কক্সবাজারে নবম দফা সংলাপের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর, ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং, রাম মাধব, সদস্য, গভর্নিং কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, মির্জা আজম, অসীম কুমার উকিল, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরানসহ প্রমুখ সংলাপে অংশ নিচ্ছেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র