অনলাইন ডেস্ক :
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে দখলদার মার্কিন বাহিনীর বিশেষ ইউনিট একটি অভিযান পরিচালনা করেছে যাতে অন্তত ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার আতমে শহরে গত বুধবার রাতে মার্কিন হেলিকপ্টার-বোর্নের সদস্যরা এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। কাতারের আল-জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে, মার্কিন সেনাদের অভিযানে যে ১৩ জন নিহত হয়েছে তার মধ্যে ছয়টি শিশু এবং চারজন নারী রয়েছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, রাত একটার সময় মার্কিন বাহিনী অভিযান শুরু করে এবং রাত তিনটার সময় কয়েকটি প্রচ- বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তিনি বলেন, হঠাৎ করেই তারা দেখতে পান একটি ভবন ধসে পড়েছে তবে সেখানে কি ঘটছে তা তারা তখনই বুঝতে পারেন নি। পরে সেখানে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন সন্ত্রাসী নেতার খোঁজে সেখানে মার্কিন বাহিনী অভিযান চালায়। তবে ঐ সন্ত্রাসীর নাম পরিচয় জানা যায় নি। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন বলেছে, অভিযান সফল হয়েছে তবে কোন ব্যক্তি এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায় নি। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বুধবার রাতে যে মিশন পরিচালনা করা হয়েছে তা সফল হয়েছে এবং এতে মার্কিন বাহিনীর পক্ষে কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে নি। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর তা প্রকাশ করা হবে। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেন, মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে দায়েশ নেতা আবু ইব্রাহিম আল-হাশমি আল-কুরাইশি নিহত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন সেনা কর্মকর্তা দাবি করেন, মার্কিন বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে দায়েশের এই নেতা নারী ও শিশুসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বোমা হামলার মাধ্যমে নিজেদেরকে উড়িয়ে দেয়। মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করছেন, অভিযান শুরুর আগে হেলিকপ্টার থেকে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে ওই ভবনে অবস্থানরত নারী ও শিশুদেরকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এর দুই ঘণ্টা পর সেখানে বড় ধরনের সংঘর্ষ শুরু হয়। অভিযানে অংশ নেয়া একটি হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে হেলিকপ্টারটিকে সেখানে ধ্বংস করে দেয়া হয়। পার্সটুডে
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু