অনলাইন ডেস্ক :
সিরিয়া ও ইরাকের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। ইস্তাম্বুলে সাম্প্রতিক বোমা বিস্ফোরণের জেরে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল ও ইরাকের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে রোববার (২০ নভেম্বর) ভোরে এই হামলা চালানো হয়। পরে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর দাবি করেন, হামলায় অঞ্চলগুলোতে সন্ত্রাসীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে তার দেশের সামরিক বাহিনী। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। অপারেশন সেন্টার থেকে দেওয়া ভাষণে হুলুসি আকর বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের আশ্রয়কেন্দ্র, বাঙ্কার, গুহা, সুড়ঙ্গ ও গুদামগুলো সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের তথাকথিত সদর দপ্তরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ আঙ্কারার দাবি, জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। হুলুসি আকর বলেন, ‘শুধু সন্ত্রাসী ও তাদের আস্তানাগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, তুরস্কের নিরাপত্তাকে কেউ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে চাইলে তার পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। হুলুসি আকর বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য আমাদের ৮৫ মিলিয়ন নাগরিক এবং আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’ উল্লেখ্য, রোববার (২০ নভেম্বর) ইস্তাম্বুলের জনাকীর্ণ ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউতে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ছয় জন নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে আরও ৮১ জন। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে এ ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) দায়ী করেছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু। হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এক সিরীয় নারীসহ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই নারীকেই প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী বলেছেন, সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর দেশটির আফরিন অঞ্চল দিয়ে তিনি তুরস্কে প্রবেশ করেছেন। ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউতে সংঘটিত ওই সন্ত্রাসী হামলার পরই রোববার (২০ নভেম্বর) ভোরে অভিযানে নামে তুরস্কের সামরিক বাহিনী।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু