May 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, March 14th, 2024, 3:29 pm

সিলেটের পতিত জমিতে বারি ১৮ সরিষার বাম্পার ফলন

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :

চলতি রবি মৌসুমে সিলেটের প্রায় ৪০০ বিঘা পতিত জমিতে বারি ১৮ সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। বিদেশ থেকে ভোজ্যতেল আমদানিনির্ভরতা কমাতে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন গবেষণা বিভাগ সিলেট পাইলট উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় সিলেটে সরিষা আবাদ সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

সরেজমিন গবেষণা বিভাগ সিলেট সূত্র জানায়, পাইলট উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে পার্টনার প্রকল্প থেকে বারি সরিষা-১৮, বারি সরিষা-১৯ জাতের ৪০০ বিঘা জমিতে চাষ হয়। যা সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলা বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মধ্যে স্বল্প জীবনকাল বারি সরিষা-১৪ ও ১৭ এবং দীর্ঘ জীবনকাল জাত বারি সরিষা-১৮-১৯।

সরিষার জাতগুলোর মধ্যে বারি সরিষা-১৮ একটি উন্নত জাত। যার জীবনকাল ১০৫ দিন তবে সরিষার ফলন বিঘা প্রতি প্রায় ৫ মণ। চলতি বছর সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কৃষক বীরেন্দ্র নাথের ৫ বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো বারি সরিষা- ১৮ চাষ হয়। সরজমিন গবেষণা বিভাগ থেকে পার্টনার প্রকল্পের মাধ্যমে সার ও বীজ দেওয়া হয়। প্রথমবার এই নতুন জাত পেয়ে কৃষক ধারণা করছে প্রায় ৮ মণ ফলন হতে পারে।বিনা চাষে শুধু কাদা-কাদা নরম জমিতে সার বীজ বাবদ খরচ কম হওয়ায় বারি ১৮ জাতের সরিষা আবাদ করছেন। এ কৃষকের সরিষার আবাদ দেখে আশপাশের কৃষকরা তার কাছে বীজ চাচ্ছে। তারা আগামীতে তাদের জমিতে রবি মৌসুমে লাভজনক বারি ১৮ জাতের সরিষা আবাদ করবেন। বিভাগের সব জেলাগুলোতে সরিষার বাম্পার ফলন আশা করছেন কৃষকরা।

জালালপুরের কৃষক মাহমুদুর রহমান বলেন, অল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়। ঝড়-বৃষ্টি না হওয়ার চলতি মৌসুমে সরিষার ফলনও হয়েছে বেশ।

সরিষার বর্তমান বাজারদর পায় মণ প্রায় ৩ হাজার টাকা। আরো বলেন, রোদে শুকিয়ে গুদামজাত করে পরে বিক্রি করতে পারলে সরিষার বাজার দর আরো বেশি পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন গবেষণা বিভাগ সিলেটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি কৃষিবিদ ও কৃষি বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন তেল জাতীয় ফসলগুলো গবেষণার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে কৃষককে একের অধিক ফসল ফলানোর জন্য নানাভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আমাদের মাঠ পর্যায়ের অফিসারগণ সার্বক্ষণিক মাঠে কৃষকের সঙ্গে কাজ করছেন।