November 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, December 2nd, 2021, 8:40 pm

সিলেটের ৪৭৮টি সুবিধা বঞ্চিত পরিবারের মধ্যে এস ও এস শিশু পল্লী’র খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
এস ও এস শিশু পল্লী সিলেট এর উদ্যোগে সিলেটের ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৪৭৮টি সুবিধা বঞ্চিত পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এস ও এস চিল্ড্রেন্স ভিলেজ ইন্টারন্যাশনাল ইন বাংলাদেশ – এর “Support COVID – 19 Response in Bangladesh (Phase 2)” শীর্ষক ১২ মাস ব্যাপি ১ম পর্যায়ের কার্যক্রমের আওতায় গত রোববার ও মঙ্গলবার এস ও এস শিশু পল্লী সিলেট এর অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওসমানীনগর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার জয়তি দত্ত। এস ও এস শিশু পল্লী সিলেট এর পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান এস টি এম ফকর উদ্দিন।
বোয়ালজুর এলাকায় উজিয়ালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজিনা আক্তার। উপস্থিত ছিলেন বোয়ালজুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনহার মিয়া। অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠন পরিচালনা করেন তানবীর আহ্মদ।
এ সময় দুই উপজেলার পরিবার শক্তিশালীকরণ কর্মসূচীর আওতায় ৪৭৮টি সুবিধা বঞ্চিত পরিবারে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল পরিবারে প্রতি ১). চাল – ২০ কেজি, ২). সয়াবিন তেল ০২ লিঃ, ৩). লবণ – ০২ কেজি, ৪). মসুর ডাল – ০২ কেজি, ৫). আলু – ০৫ কেজি, ৬). পিঁয়াজ – ০১ কেজি, ৭). গুড়ো দুধ ২০০ গ্রাম – ০১ প্যাকেট, ৮). চিনি – ০১ কেজি, ৯) মুড়ি – ২ কেজি, ১০). এনার্জি বিস্কুট – ২০ প্যাকেট, ১১). ডিম – ৩০ টি।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস এর বিস্তার রোধ ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার কর্তৃক গৃহিত সকল পদক্ষেপ এর সাথে একাত্ব হয়ে এবং বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুসরণ করে এস ও এস শিশু পল্লী কাজ করে আসছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে এস ও এস শিশু পল্লী সিলেট উপকারভোগীদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং ২য় পর্যায়ের (অক্টোবর ২০২১ – সেপ্টেম্বর ২০২২) কার্যক্রম শুরু হয়েছে।