April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, September 29th, 2021, 9:37 pm

সিলেটের ৬৭০ ম-পে সাজ সাজ রব!

এস.এ শফি, সিলেট:
দুয়ারে কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার জন্য সিলেটের ৬৭০টি মন্ডপে চলছে সাজ সাজ রব। শিল্পীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরিতে। রঙ-তুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে দৃষ্টিনন্দন করতে চলছে তাদের কসরত। দুর্গাপূজাকে ঘিরে চলছে কেনাকাটার ধুমও। নগরীর বিপণিবিতান ঘুরে কাপড়ের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, আগামী ১০ অক্টোবর মহাপঞ্চমীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা। পর্যায়ক্রমে আসবে দশমীর দিন। যে দিন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় উৎসব।
পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার তথ্যানুসারে, সিলেট জেলাজুড়ে এবার ৬০৫টি মন্ডপে হবে পূজা উদযাপন। আর মহানগর এলাকায় হবে ৬৫টি মন্ডপে। মহানগরের মধ্যে সার্বজনীন ৫০টি ও পারিবারিক ১৫টি মন্ডপ রয়েছে। সবমিলিয়ে ৬৭০টি মন্ডপে মহাধুমধামে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে এখন।
তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির বিষয়টিও মাথায় রাখছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন ঘোষ, ‘এবারও করোনার কারণে আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ অনেকগুলো নির্দেশনা মেনে পূজো আয়োজনের পদক্ষেপ নিয়েছি।’
তিনি বলেন, আগামী ১০ অক্টোবর মহাপঞ্চমীর মধ্যে দিয়ে শারদ উৎসব শুরু হবে। তাই মন্ডপে মন্ডপে চলছে দেবী দুর্গার বর্ণিল সাজ-সজ্জার শেষ মুহূর্তের কাজ। প্রতিমায় রঙ করা হচ্ছে। পূজোর যাবতীয় উপকরণ, পূজো, পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, চন্ডীপাঠ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি, ভজন কীর্তন, আলোকসজ্জা ও ডেকোরেশনসহ নানান প্রস্তুতি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
পূজোর দিন ঘনিয়ে আসায় শিল্পীদের এখন চরম ব্যস্ততা। রঙ-তুলির আঁচড়ের শেষ কাজটুকু করছেন তারা।
নগরীর দাড়িয়াপাড়া এলাকার প্রতিমাশিল্পী দুলাল পাল বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এখন চলছে রঙ-তুলির কাজ। দু-চারদিনের মধ্যে প্রতিমাগুলো পূর্ণতা পাবে। এখানে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন ২০ হাজারের মধ্যে একটি ম-পের প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত বলেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, প্রতিটি পূজাম-পে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা, জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা ও পরিদর্শন বই রাখার জন্য আমরা সবাইকে অনুরোধ করেছি। আশা রাখছি, এবার সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শারদ উৎসব আনন্দ-উল্লাসে উদ্যাপন করা হবে।’
এদিকে, পূজাম-পগুলোতে নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজরদারি রাখা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন।