May 9, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, February 26th, 2023, 4:05 pm

সিলেটে আইডিয়ার যুবমেলা

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :

দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় এবং ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট এ্যাফেয়ার্স (আইডিয়া) কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত পুলিশ এনগেজমেন্ট এ্যাপ্রোচ ফর কাউন্টারিং এক্সট্রিমিজম (পিস) প্রকল্পের আওতায় সিলেটের উমরশাহ তেররতন সরকারী প্রাইমারী স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে যুবমেলা-২০২৩ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে যুব মেলার ১ম অধিবেশনে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোঃ সোহেল রেজা, পিপিএম প্রধান অতিথি হিসেবে যুবমেলার উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন অপরাধ ও উগ্রবাদবিহীন দেশ গড়তে যুবদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা করতে হবে।
বিকালের অধিবেশনের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও প্রশাসন) মাহফুজা আক্তার শিমুল। বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা পুলিশের ডিআইও-১ মোঃ নুরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ জয়নাল আবেদীন, প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ হামিদুল হক, ‘আইডিয়ার’ পক্ষে প্রকল্পের সমন্বয়কারী সুদীপ্ত চৌধুরীসহ অন্যান্য স্টাফবৃন্দ। এছাড়াও মেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে অসংখ্য পুলিশ অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
আইডিয়ার নির্বাহী পরিচালক নজমুল হক এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের ফিন্যান্স ডিরেক্টর কামরুল হাসান ভূইয়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
যুবমেলায় সিলেট মেট্্েরাপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সার্ভিস স্টল থেকে সহিংস উগ্রবাদ প্রতিহতকরণের কাজে যুবরা কিভাবে কাজ করবে সে সম্পর্কে ধারনা লাভ করে এবং নারী তথ্য কেন্দ্র স্টাল থেকে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিকার এবং নারীকেন্দ্রিক যে সব সেবা পুলিশ দিয়ে থাকে নারীরা সেসব তথ্য জানতে পারে। পিস প্রকল্পের একটি স্টল থেকে সহিংস উগ্রবাদের ধারণা ও প্রতিহতকরণ সম্পর্কিত নানাবিধ তথ্য-উপাক্ত সম্পর্কে তারা জ্ঞান অর্জন করে। এছাড়া মেলার অন্যন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী ছিল, সহিংস উগ্রবাদ সম্পর্কিত আলোচনা, সেলফি ও কুইজ প্রতিযোগীতা এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ ইত্যাদি।
প্রধান অতিথি সিলেট জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।
উল্লেখ্য ২০২০ সাল থেকে সিলেটে ‘পিস’ প্রকল্প কমিউনিটি পুলিশিং এ্যাপ্রোচ ব্যবহার করে সহিংস উগ্রবাদ প্রতিহত করার কাজে পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে একসাথে কাজ করে আসছে। কমিউনিটি পুলিশিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো, পুলিশিং কাজে কমিউনিটির অংশগ্রহণ। আর এই কমিউনিটিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যুবসমাজ। কেননা, এই যুবরাই সকল ভাল কাজে সবার আগে থাকে। তাদের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বের কারণেই ইতিহাসের সকল সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবর্তনগুলো সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশে সহিংস উদ্রবাদসহ মাদক, জুয়া ইত্যাদি প্রধান সমস্যা। এছাড়া যুবরা উদ্রবাদী দলগুলোর প্রধান লক্ষ্যগোষ্ঠী। সে কারণেই সহিংস উগ্রবাদ সম্পর্কে যুবশ্রেণীর জানাশোনা থাকা অপরিহার্য। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান থাকলেই তারা সচেতন ও সতর্ক থাকতে পারবেন এবং অন্যকেও সতেচন করতে সক্ষম হবেন। কমিউনিটি পুলিশিং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, পুলিশের সাথে কমিউনিটির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সে দিক দিয়ে বিবেচনাতেও যুবদের সাথে পুলিশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা থাকা অত্যন্ত জরুরী। এই বিবেচনা থেকেই দি এশিয়া ফাউন্ডেশন সিলেটের স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়ার সহযোগিতায় প্রায় পাঁচশ যুবাকে নিয়ে যুবমেলা-২০২৩।
‘পিস’ প্রকল্পটি সিলেট সিটি কর্পোরেশনসহ সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, জৈন্তাপুর ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৮ টি থানার মোট ১০০ টি ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের মাধ্যমে ২০২০ সাল থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ‘পিস’ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো- কার্যকরভাবে নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, পুলিশ ও কমিউনিটির মধ্যে তথ্য বিনিময় এবং নানাবিধ প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে উগ্রবাদ বিরোধী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে শক্তিশালী করা।