সিলেট অফিস :
একদিন আগে থেকেই সিলেটে শুরু হয়ে গেছে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত দু’দিনব্যাপী আজিমুশ্বান ইজতেমা। মঙ্গলবার রাত থেকে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেন। তবে বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ইজতেমার কার্যক্রম।
সিলেটে বিএনপির সমাবেশের আগে ইজতেমায় আপত্তি জানিয়েছিলো পুলিশ। ইজতেমা কয়েকদিন পিছিয়ে নেওয়ার অনুরোধও করা হয়েছিলো। তবে আপত্তি আর অনুরোধ উপেক্ষা করে বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ আপত্তি জানানোর পর বুধবার থেকেই শুরু হয় ইজতেমার কার্যক্রম।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল মাঠে বুধবার সকাল থেকেই জড়ো হন আয়োজকদের অনেকে। এই মাঠেই ফজর ও জোহরের নামাজ আদায় করেন তারা।
মঙ্গলবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ইজতেমার আয়োজন কয়েকদিন পিছিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিলো। বিএনপির সমাবেশের সময়ে ইজতেমা আয়োজনে অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কা থেকে এমন অনুরোধ করা হয় বলে জানিয়েছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার সুদীপ দাস।
১৯ নভেম্বর নগরের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশের সময়ে ইজতেমা আয়োজনে আপত্তি পুলিশের।
তবে পুলিশের এমন আপত্তি আর অনুরোধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন আয়োজকরা। পুলিশের নির্দেশনা পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতেই তাদের অনেকে ঘইজতেমাস্থলে সমেবত হন। আয়োজক সংগঠন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির বরুণার পীর হিসেবে পরিচিত মুফতি মাওলানা রশীদুর রহমান ফারুকও রাতে ইজতেমা মাঠে আসেন। পুলিশের আপত্তির কারণে বুধবার থেকেই ইজতেমা শুরুর ঘোষণা দেন তিনি। যা চলবে শনিবার পর্যন্ত।
এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেন, ইজতেমাকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে গোয়েন্দা রিপোর্টে এমনটি আশঙ্কা করা হয়েছিলো। তাই আমরা অনুরোধ করেছিলাম বিএনপি’র গণসমাবেশের পর ইজতেমা আয়োজন করার। কিন্তু উদ্যোক্তারা তাতে রাজী হননি। ধর্মীয় বিষয় হওয়ায় আমরা তাদের মানাও করতে পারছি না। তবে শৃঙ্কলার ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার কথা বলেছি।
জানা গেছে, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ৭৭ বছর পূর্তি ১৭ ও ১৮ নভেম্বর দুদিনব্যাপী এই ইজতেমার আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার ফজর থেকে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা। তবে বুধবার থেকেই তা শুরু হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে আয়োজক সংগঠনের আমির মুফতি রশীদুর রহমান ফারুক বলেন, আমরা সব আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেছি। আলেম উলামারাও আসতে শুরু করেছেন। এ অবস্থায় ইজতেমা পেছানা সম্ভব নয়। তবে আমরা আইন মান্য করি। এখানে কেউ বিশ্খৃলা করবে না। এখান থেকে কেউ বিএনপির সমাবেশেও যাবেনা।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি