জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
মাত্র ১৩০ টাকায় ঘুষ-তদবির ছাড়াই পুলিশে চাকরি হয়েছে সিলেটের ৯৫জন তরুন-তরুণীর। মূল্যায়ন হয়েছে মেধা ও যোগ্যতার। পূরণ হয়েছে পিতৃহীন গরিব পরিবারের সন্তানের স্বপ্ন।
পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে চাকরি পেয়েছেন ৯৫ জন। তাদের মধ্যে ৮৪ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী।
সিলেট জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ‘চাকরি নয় সেবা’ এ স্লোগানে গত ২০ থেকে ২২ মার্চ ৩ দিনব্যাপী সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্সে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পুরুষ/নারী পদে নিয়োগের জন্য শারিরীকভাবে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা হয়।
৯ এপ্রিল শনিবার রাতে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের মধ্যে ১৫ জনের বাবা নেই, পিতৃহীন গরিব পরিবারের সন্তান এবং ৪২ জনের বাবা গরিব কৃষক। এছাড়া নিয়োগ পাওয়া ৯৫ জনের মধ্যে ৭৫ জনের পরিবারে এর আগে কেউ সরকারি চাকরি করেনি। তারাই পরিবারের প্রথম সরকারি চাকরিজীবী।
এর আগে অনলাইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে ২ হাজার ৮৪৮ প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করে শারিরিক সক্ষমতা পরীক্ষার জন্য মাঠে আহ্বান করা হয়। আবেদনকারীদের মধ্যে ২ হাজার ১৬২ জন মাঠে উপস্থিত থেকে নিজেদের শারিরিক সক্ষমতার পরিচয় দেন। ৩ দিনের শারিরিক সক্ষমতা যাচাই প্রক্রিয়ায় ৬৭৩ জন যোগ্য বিবেচিত হন। এরপর গত ২৯ মার্চ লিখিত পরীক্ষায় ৬৬৬ জন অংশ নেন। তাদের মধ্য থেকে শনিবার (৯ এপ্রিল) রাতে ঘোষিত ফলাফলে ১৫৫ জন উত্তীর্ণ হন।
একই দিনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ কমিটি কর্তৃক সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে ৯৫ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে ৮৪ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী রয়েছেন।
নিয়োগ কমিটির প্রধান সিলেট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, ‘পুলিশ মহা পরিদর্শকের (আইজিপি) নির্দেশনায় সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি নিয়োগ প্রাপ্তরা আগামীতে দেশ সেবায় ও কর্ম ক্ষেত্রে নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার পরিচয় দেবেন।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি