জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ক্বীন ব্রিজের সংস্কার কাজ চলছে । ব্রিজটির দুই প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দিয়ে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে এমনকি মানুষের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ব্রিজটি বন্ধ হওয়ায় ফলে উত্তর সুরমা এবং দক্ষিণ সুরমায় যাতায়াতে স্হানীয় জনসাধারণকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সেতু বন্ধের ঘোষণা দিয়ে ব্রিজের দু’পাশে নোটিশ লাগানো হয়েছে। কাজের মেয়াদ দুই মাস ধরা হলেও এর আগেই কাজ শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ সুরমা ও উত্তর সুরমা যেতে যেমন সময় বেশি লাগছে তেমনি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারা পার হচ্ছে দুই পাড়ের মানুষ। নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুরমা নদী দিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ। এতে করে প্রতিদিন খেয়াঘাটে দেখা যায় মানুষের ভিড়। এপার থেকে ওপারে যেতে নৌকায় দিতে হয় একজনকে পাঁচ টাকা করে।
নৌকা যাত্রীদের অভিযোগ, নৌকায় অতিরিক্ত মানুষ তোলার ফলে ঝ্ুঁকি নিয়ে তারা নৌকায় পারাপার হচ্ছে শুধু সময় বাঁচানোর জন্য। আর নৌকার মাঝিরা টাকার লোভে অতিরিক্ত মানুষ তোলছে নৌকায় যার ফলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আরও বলেন নৌকার ভাড়া পাঁচ টাকা নিচ্ছে ঠিক আছে কিন্তু তারা ২৫ বা ৩০ জনের জায়গায় আরও বেশি যাত্রী নিচ্ছে যেটা ঝুঁকিপূর্ণ বেশি। তাই সাধারণ মানুষ কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব ক্বীন ব্রীজের কাজ শেষ করার জন্য।
বিকল্প দুটি ব্রিজ রয়েছে বলে প্রশ্ন করলে কয়েকজন বলেন, উপশহরের শাহজালাল ব্রীজ দিয়ে ঘুরে যেতে নাকি এক ঘণ্টা সময় লাগে তার উপর জ্যামে পড়লে নাকি দুইঘণ্টা লেগে যায়। আর ক্বীন ব্রীজ বন্ধ হওয়ায় কাজির বাজার ব্রীজের মুখে সকালে এবং বিকালে যানজট থাকে যার ফলে এই ব্রীজ দিয়েও চলাচল করতে সময়ের ব্যাপার। তাই সময় বাঁচাতে শর্টকাটে নৌকায় পার হয়ে যান মানুষ।
ক্বীন ব্রিজ বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় ভোগছেন স্কুল, কলেজ, চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ী সহ দূর দূরান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকরা। তার কারণ সিলেটের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল দক্ষিণ সুরমার কদমতলীতে যার ফলে বাস থেকে নেমে হেঁটে এসে জিনিসপত্র নিয়ে নৌকায় পার হতে হচ্ছে। তা নাহলে বেশি সময় নিয়ে যানজটে আটকে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয় এপার থেকে ওপারে যাওয়ার জন্য।
তবে সওজ সূত্রে জানা গেছে, আগামী দুই মাস সংস্কার কাজ চলবে। সংস্কার শেষে আবারো জনসাধারণের জন্য এটি খুলে দেয়া হবে। রেলওয়ের বিভাগকে দুই মাসের আগে কাজ শেষ করার জন্য বলা হয়েছে বলা জানা গেছে। সংস্কারে পরে ক্বীন ব্রিজ দিয়ে আর বড় ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হবে না।
এর আগে ২০১৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির দুই দিকে লোহার বেষ্টনী দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে সিটি করপোরেশন। তবে নাগরিকদের প্রতিবাদের মুখে বন্ধের কিছুদিন পরেই যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি