November 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, August 28th, 2023, 6:22 pm

সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও সেতু সংস্কারে নতুন প্রকল্প

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :

সিলেট বিভাগের ৪টিসহ ৯ জেলায় গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও সেতু সংস্কার করতে আলাদা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৯০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দিচ্ছে। বাকি টাকা সরকার খরচ করবে।

‘এডিবির জরুরি সহায়তায় বন্যা ২০২২-এ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ অবকাঠামো পুনর্বাসন’র আওতাভুক্ত প্রকল্পটির মেয়াদ চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হয়েছে। অর্থাৎ তিন বছরের বেশি সময় ধরে এ ৯ জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও সেতু মেরামতের কাজ চলবে।

সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু সড়ক ও সেতু। সেগুলো এখনো সংস্কার করা হয়নি। এ কারণে ভোগান্তিতে আছেন সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর বাসিন্দারা। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, সেতু ও কালভার্ট পুনর্নির্মাণ ও সংস্কারে হাজার কোটি টাকার আলাদা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

প্রকল্পে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা, জামালপুর ও কুড়িগ্রাম- এ নয়টি জেলা অন্তর্ভুক্ত।

সুনামগঞ্জে গত বছর বন্যা হয় তিন দফায়। আর সিলেট জেলায় হয় দুই দফা বন্যা। এর মধ্যে জুনে ভয়াবহ বন্যায় গ্রামীণ সড়ক তছনছ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু সেতু, কালভার্ট। সড়ক-সেতুর অনেকগুলোই এখনো সংস্কার করা হয়নি। এতে ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না স্থানীয় বাসিন্দাদের।

প্রকল্পটির আওতায় ৪০৬ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ৩৪৬ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক, ২ হাজার ১৭১ মিটার সেতু ও ৮০৯ মিটার কালভার্ট পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে। সড়ক রক্ষায় দেয়াল (টো ওয়াল) নির্মাণ করা হবে ৬২ কিলোমিটার। রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে ২ লাখ ২১ হাজার বর্গমিটার সড়কের ঢাল।

এলজিইডি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিবছর সংস্থার বাজেটে সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ নির্দিষ্ট টাকা বরাদ্দ থাকে। অনেক সময় বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে একাধিক জেলার সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের বরাদ্দ থেকে সংস্কার করা সম্ভব হয় না। এ পরিস্থিতিতে আলাদা প্রকল্প নেওয়া হয়। একইভাবে গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল হক বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কোন সড়ক কখন সংস্কার করা হবে, সেটার অগ্রাধিকার তালিকা করা হয়েছে। জেলাগুলো থেকে দরপত্র ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আসছে। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। দ্রুতই কাজ শুরু হবে।’