November 14, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, February 1st, 2023, 5:48 pm

সিলেটে বোরো চাষে খরচ বাড়ায় বিপাকে কৃষক

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :

সিলেটের অঞ্চলগুলোতে কন কনে শীতকে উপেক্ষা করেই বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। সাতসকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শীতে জবুথবু হয়ে মাঠে বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ করছেন তারা।
চারা রোপণের পাশাপাশি চলছে জমি তৈরির কাজও। তবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বোরো ধান চাষে খরচ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত সেচ ব্যবস্থা না থাকায় চাষে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, শীতের সকালে কুয়াশায় মধ্যে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন চাষিরা। অনেকে চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন, চারা গাছে পরিচর্যা করছেন। তবে সেচ সংকট এছাড়া সার এবং তেলের দাম বাড়ায় অস্বস্তিতে ভুগছেন অনেক কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ সূত্র জানায়, সিলেটের চার জেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৩৬ হেক্টর। যা গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। গতবছর দেরিতে বোরো চারা রোপণ করলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফসল বেশি উৎপাদন হয়েছিল। এবারও চালের লক্ষমাত্রা ছাড়াবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দিয়েছেন পতিত জমিতে আবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য। সে অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া কৃষিমন্ত্রীর এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
রহিম মিয়া নামের এক কৃষক বলেন, দুই বছর ধরে ৫ একর জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। এখন জমি প্রস্তুতি শেষে চারা রোপণ করছি। পর্যাপ্ত সার, সেচের সুবিধা থাকলে আরও ২-৩ একর জমিতে বোরো চাষ করতাম। এছাড়া তেলের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে আগের চেয়ে। সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে ভুগছি।
কৃষক সাজিদ মিয়া বলেন, তেলের দাম বাড়ায় সেচ ও হাল চাষে খরচ অনেক বেড়েছে। আমন মৌসুমের মতো বোরো মৌসুমে ধানের দাম থাকলে কৃষকেরা লাভবান হবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক, মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা জানান, এবছর সিলেট জেলায় ৮৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে সেই লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর ৮৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতের ধান চাষ হয়েছিল।প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দিয়েছে পতিত জমি ফসলের জন্য ব্যবহার করার জন্য এছাড়া কৃষিমন্ত্রীর এ বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময় কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এবছর প্রায় ৭০ হাজার কৃষকরেক বীজ, সার দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। এবছর জেলায় চালে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ২৫০ মেট্রেক টন। বৈশ্বিক কারণে তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও চালের দামও বেড়ছে আগের থেকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন খান জানান, এবছর সিলেট বিভাগে ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৩৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। সিলেট অঞ্চলে আগের তুলনায় বোরো চাষ অনেক বেড়েছে। আউশ, আমনের পাশাপাশি বোরো চাষে কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী পতিত জমিতে ধান চাষের নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। বোরো ধান আবাদ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে সবাইকে সহযোগীতা করা যায় না। প্রান্তিক কৃষক যারা আছেন তাদেকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা করাহ হচ্ছে। সরকার কৃষকদের জীবন মান উন্নয়নে সব চেষ্টা করে যাচ্ছে।