জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
সিলেটে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার দুপুরে নগরীর একটি বাসা থেকে মো. ইদ্রিস মিয়া (৩৮) নামের ওই প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
ইদ্রিস মিয়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চকতিলক সাহারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রতারণার অভিযোগে নগরীর পাঠানটুলা এলাকার বাসিন্দা মোছা. রুবিনা বেগম নামের এক নারী ইদ্রিসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সিলেটে মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) সূত্রে জানা গেছে, ইদ্রিস মিয়া প্রায় তিন মাস আগে রুবিনা বেগমের কাছে একটি পিতলের মূর্তি স্বর্ণের বলে বিক্রি করেন। কিছুদিন পর রুবিনা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে এ বিষয়ে কথা বলতে ইদ্রিসের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে নানা টালবাহানায় তিনি দেখা করছিলেন না। তবে রুবিনা আরেকজনকে ক্রেতা সাজিয়ে কৌশলে ইদ্রিসকে সোমবার দুপুরে নগরীর পাঠানটুলা এলাকার একটি বাসায় ডেকে আনেন এবং গোয়েন্দা পুলিশকে খবর দেন। পরে ইদ্রিসকে পুলিশ ওই বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।
জানা গেছে, ইদ্রিস আলীর কাছ থেকে উদ্ধার করা পিতলের মূর্তি বিশেষভাবে রং করা, যেটি দেখলে দেখতে হুবহু স্বর্ণের পিতলের মতো। সাধারণ মানুষ দেখলে স্বর্ণের বলেই ভুল করবে। এরই সুযোগ নেন ইদ্রিস আলী। গত অক্টোবরে রুবিনা বেগমের কাছে স্বর্ণের মূর্তি বলে চড়া দামে এটি বিক্রি করেন ইদ্রিস।
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, ইদ্রিস আলী স্বর্ণ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। চক্রটি বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে সিলেটে সহজ-সরল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। মঙ্গলবার গোয়েন্দা পুলিশ খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইদ্রিসকে আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ। তার সঙ্গে আর কারা জড়িত, জিজ্ঞাসাবাদ করে সেটি জানার চেষ্টা করা হবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি