জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
এক মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটন হয়নি। এক মাস আগে সিলেট নগরীর নগরীর পাঠানটুলাস্থ পল্লবী আবাসিক এলাকার সি-২৫নং বাসার পৃথক কক্ষ থেকে স্বামী ও স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
তবে গৃহবধূর মরদেহ যেই কক্ষে ছিল সেখানে টেবিলের ওপর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। চিরকুটটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কার লেখা তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় জালালাবাদ থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে ও ময়না তদন্ত (ডিএনএ) রিপোর্ট এলেই সঠিক কারণ জানা যাবে বলে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট প্রতিদিনকে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার এসআই রাজীব মোহন দাস।
জানা যায়, চলতি বছরের ৬ নভেম্বর দুপুরে নগরের পাঠানটুলা এলাকার পল্লবী আ/এ সি ২৫ নম্বর বাসা থেকে রিপন দাস (৩০) ও শিপা তালুকদার (২৮) দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রিপন দাস সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের সুভাষ দাসের ছেলে এবং শিপা তালুকদার সুনামগঞ্জ সদরের মনপুর ইউনিয়নের ফন্দিয়া গ্রামের নির্ণয় তালুকদারের মেয়ে। তারা পল্লবী আবাসিক এলাকার ধীরেন্দ্র দে’র বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন।
এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন নিহত রিপন দাসের ভাই রূপণ দাস এবং নিহত শিপা তালুকদারের বড় ভাই নিবারণ তালুকদার।
এব্যাপারে জালালাবাদ থানার এসআই রাজীব মোহন দাস বলেন, মামলাটি এখনো তদন্ত চলমান রয়েছে।ময়না তদন্ত (ডিএনএ) রিপোর্টও আসেনি। ডিএনএ রিপোর্ট এলেই জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ। কতদিন সময় লাগতে পারে রিপোর্ট আসতে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, চিরকুটি মূলত কার হাতের লেখা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে মরদেহ উদ্ধারের সময় সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ আরও বলেন, ‘ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের তথ্য জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তদন্তে বের হয়ে আসবে।’
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ