উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের কয়েকটি হাওরের পানিতে নিচু জমির প্রায় ৪০০ বিঘা বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাহাড়ি ঢলে দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নের ফুকছা হাওর, ভাই কুড়ি, মটরের কুড়ি, দেওয়ার কর, কাপনা কুড়ি, ডাইলা হাওর, আখাই কুড়ি, কাংলাঘাটি ও দরম হাওর মিলিয়ে প্রায় ৪০০ বিঘা জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ফসল রক্ষা বাঁধের বাইরে আবাদ করা ওইসব জমির ফসল ছিল দুধ ও দানা পর্যায়ে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পঙ্কজ জানান, ইছাকলস ইউনিয়নের ৫০ বিঘা জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে পাথারচাউলি হাওর রক্ষা বাঁধ যেকোনো সময় ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে হাওরের হাজারো হেক্টর জমির ধান তলিয়ে যাবে।
পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর আলম বলেন, পাহাড়ি ঢলের শঙ্কায় এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে রাউটি হাওরে বাঁধ তৈরি করি। তবুও পানি আটকানো যায়নি। প্রবল স্রোতে বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করে বোরো ফসল তলিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। পানির এমন প্রবাহ থাকলে ফসল রক্ষা বাঁধের সীমা উপচে উপজেলার সমস্ত বোরো ফসল তলিয়ে যাবে।
এ বছর উপজেলায় পাঁচ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে বলে জানান তিনি।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী ফখরুল আহমেদ বলেন, কোম্পানীগঞ্জে হাওরে এবার ৬ দশমিক ৫৭১ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এক কোটি ৪৭ লাখ টাকার ব্যয় বরাদ্দে এ বাঁধ মজবুত হলেও অতিরিক্ত পানি বেড়ে উপচে পড়লে হাওরের বোরো ফসল রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত লুসিকান্ত হাজং বলেন, আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে, আমাদের ফসল রক্ষা বাঁধগুলো এখনও নিরাপদ জোনে আছে। ইতোমধ্যে যেসব কৃষকের ফসল তলিয়ে গেছে, সেসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক