জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
সিলেট জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের কাছে লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৯১১টি। মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে গোলাবারুদসহ এসব আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৫৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা হয়েছে। যা মূল আগ্নেয়াস্ত্রের মাত্র ৬ শতাংশ।
সিলেট মহানগর ও জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সিলেট মহানগর এলাকায় লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ২৪৮টি আর জেলার লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৬৬৩টি। তবে সব মিলিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে ৫৬টি। বাকিগুলা এখনো জমা হয়নি। ফলে বাকি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে বুধবার রাত ১২টা থেকে।
সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. সম্রাট তালুকদার বলেন, সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই আমরা থানাগুলোকে প্রচারণা চালানোর জন্য বলেছি। এসব আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো থানায় জমা না দিলে সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা আসার পর কাজ শুরু করবে পুলিশ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বার্তায় জানানো হয়েছে, ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুবর্ণা সরকার জানান, গত ১৫ বছরের লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র স্থগিত করেছে সরকার। সেইসঙ্গে সবাইকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে থানায় আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও বেশিভাগ অস্ত্রধারী আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেয়নি। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। যারা নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি