November 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, October 24th, 2023, 7:49 pm

সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া

ফাইল ছবি

ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, তিনি খুবই অসুস্থ। গতকাল রাতে তাকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বেলা ১২টার দিকে তাকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, সকালে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা (চিকিৎসকরা) বলেছেন, ম্যাডাম এখন খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।

গত ৯ আগস্ট থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

তিনি বলেন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

এর আগে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বেশ কয়েকবার সিসিইউতে নেওয়া হয়।

লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার তার নিঃশর্ত মুক্তি এবং জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে ‘অ্যাডভান্সড মেডিকেল সেন্টারে’ চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেন।

কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, দুর্নীতির সাজা ভোগ করতে জন্য তাকে প্রথমে কারাগারে ফিরে যেতে হবে এবং পরে এ বিষয়ে অনুমতি নিতে আদালতে আবেদন করতে হবে।

গত ৯ অক্টোবর এভারকেয়ার হাসপাতালের বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করে, বাংলাদেশে তার চিকিৎসার কোনো বিকল্প না থাকায় তাকে দ্রুত বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো হোক।

হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া বন্ধে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কারণে সৃষ্ট সংক্রমণের কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় থাকা এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।

—-ইউএনবি