জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
সিলেট নগরীর কুশিঘাটে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে ৫৩৫টি পানির ফ্লু মিটার চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া এসব ফ্লু মিটারের মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শাখার ৩ প্রকৌশলীকে শোকজের পাশাপাশি ৮ কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিসিকের রাজস্ব কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়।
জানা যায়, প্রায় ২৮ লাখ টাকা দামের ৫৩৫টি ফ্লু মিটার নগরের কুশিঘাটে সিসিকের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু এগুলো ম্যানুয়াল হওয়ায় ব্যবহার করা যায়নি। তাই দীর্ঘদিন ধরে ফ্লু মিটারগুলো গোডাউনে পড়ে থাকে। সম্প্রতি ৫০টি ফ্লু মিটার উত্তোলনের প্রয়োজন দেখা দিলে সংশ্লিষ্টরা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান একটি ফ্লু মিটারও নেই। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।
এ অবস্থায় ওই সময়ে দায়িত্বপালনকারী সিসিকের স্থায়ী কর্মচারী পাম্প অপারেটর হাসান মাহমুদ মাসুমকে সাময়িক বরখাস্ত ও অস্থায়ী ৭ কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান ও সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক তপাদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) প্রদান করা হয়েছে।
অন্যদিকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর চুরির ঘটনায় সিসিকের পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান বাদি হয়ে শাহপরাণ (রহ.) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী মিটার চুরির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একজন স্থায়ী কর্মচারী ও অস্থায়ী ৭ জন কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া পানি শাখার তিনজন প্রকৌশলীকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের রাজস্ব কর্মকর্তাকে প্রদান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিবে। এরপরেই বিস্তারিত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি