সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন আটজন। বিধি অনুযায়ী ভোট না পাওয়ায় জামানত হারাচ্ছেন পাঁচজন প্রার্থী।
নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী ফলাফলে বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় এরা জামানত হারাচ্ছেন।
জামানত হারানো মেয়র প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), জাকের পার্টির জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)।
বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণা করা হয় রাতে।
ঘোষিত ফলে ১৯০টি কেন্দ্রে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোহাম্মদ শাহ জাহান মিয়া (বাস) ২৯ হাজার ৬৮৮ ভোট পেয়েছেন।
আর জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) ১২ হাজার ৭৯৪ ভোট, স্বতন্ত্র আব্দুল হানিফ কুটু (ঘোড়া) ৪ হাজার ২৯৬ ভোট, মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট) ২ হাজার ৬৪৮ ভোট, স্বতন্ত্র জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল) ৩ হাজার ৪০৫ ভোট ও স্বতন্ত্র মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ) ২ হাজার ৯৫৯ ভোট পেয়েছেন।
তবে আগেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার তথ্যমতে, জামানত রক্ষায় প্রার্থীদের মোট ভোটের আট ভাগের এক অংশ পেতে হয়। সে হিসেবে তিনজন ছাড়া বাকি পাঁচজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
সিটি নির্বাচনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৯টি, তন্মধ্যে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ২১৬ ভোট। জামানত রক্ষায় প্রত্যেক প্রার্থীকে পেতে হতো ২৮ হাজার ৩৩০ ভোট। আট প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন জামানত রক্ষার সেই ভোট পাননি।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি