November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, October 10th, 2022, 9:08 pm

সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে: বিজিবি মহাপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। এ ছাড়া সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি, টহল জোরদার, জনবল বৃদ্ধি এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার (১০ অক্টোবর) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। এদিন সকালে সড়ক পথে কক্সবাজার থেকে তিনি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পৌঁছান এবং সীমান্ত পরিদর্শন করেন। পরে এদিন দুপুরে রেজুপাড়া বিওপিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিজিপি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিজিপির সঙ্গে আমাদের টেলিফোনে, মোবাইলে এবং লিখিতভাবে সব ধরনের যোগাযোগ রয়েছে। সীমান্তে যেকোনো ঘটনা ঘটলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিবাদলিপি পাঠাই এবং তারা আমাদের উত্তর দেন। মহাপরিচালক বলেন, মর্টারশেল নিক্ষেপ, হেলিকপ্টার আকাশ সীমা অতিক্রমসহ প্রত্যেকটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মিয়ানমারও এসব বিষয়ের কূটনীতিকভাবে উত্তর পাঠিয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে পতাকা বৈঠক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে যোগাযোগও করা হয়েছে। সুবিধামত সময়ে শীঘ্রই ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে সব বিষয়গুলো সরাসরি উপস্থাপন করা হবে। প্রসঙ্গত, গত দুইমাসেরও বেশি সময় ধরে বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেই দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। বেশ কয়েক বার সীমানার ওপারের ছোঁড়া মর্টারশেলসহ গোলাবারুদ ও হেলিকপ্টার এপারেও এসেছে। এমন পরিস্থিতির কারণে সীমান্তে নজরদারি ও জনবল বৃদ্ধি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার লোকজনের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি। তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছি, কেউ যেন শূন্যরেখা অতিক্রম করে কাঁটাতারের ওপারে না যান। মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, এখন হয়তো সব সময় সব জায়গায় নজরদারি করা যাবে না। আমরা চেষ্টা করি বাংলাদেশি লোকজন যেন সবসময় ওপারে না যায়। তারপরও মাইন বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনা ঘটলেও আমরা কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদলিপি পাঠাই।