জেলা প্রতিনিধি, পাবনা :
পাবনার সুজানগরে জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সুজানগর পৌরসভার কর্মচারী আল আমিন হোসেন (২৫) নিহত ও তার বড় ভাই রজব আলী (৩৮) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার আতাইকুলা থানার সাদুল্লাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আল আমিন সুজানগর পৌরসভার রাধানগর মহল্লার মৃত আব্দুস সাত্তার প্রামানিকের ছেলে। তিনি সুজানগর পৌরসভার টিকাদানকারী পদে চাকুরী করতেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রজব আলী ও আল আমিনের সাথে জমিজমা নিয়ে সুজানগর পৌরসভার সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন তোফা ও তার ভাই পৌর যুবলীগের সভাপতি জুয়েল রানার দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এর আগে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় মামলা হয়। সোমবার দুপুরে পাবনা আদালতে ঐ মামলার শুনানি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন আল আমিন ও রজব।
পথিমধ্যে সাদুল্লাপুর স্কুলের সামনে একদল যুবক তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল আমিন ও রজবকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে আল আমিন মারা যান । আশংকাজনক অবস্থায় রজব আলীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানান, পূর্ববিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশী অভিযান শুরু হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে সুজানগর হাসপাতালের সামনে প্রধান সড়ক অবরোধ করে ও টায়ার জ¦ালিয়ে বিক্ষোভ করেন নিহতের স্বজন এবং পৌরসভার কর্মচারীরা। তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান। পরে পুলিশের আশ^াসে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
নিহতের স্বজন কুতুব উদ্দিনসহ বিক্ষুদ্ধরা জানান, এই হত্যাকান্ডের সাথে সুজানগর পৌরসভার সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন তোফা, তার ভাই পৌর যুবলীগের সভাপতি জুয়েল রানার অনুসারীরা ওসপ্রতভাবে জড়িত। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি