November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, May 14th, 2023, 8:57 pm

সুদানে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে সৌদি আরবে

অনলাইন ডেস্ক :

তুমুল লড়াই অব্যাহত থাকার মধ্যেই সুদানে যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা রোববার (১৪ মে) শুরু হয়েছে সৌদি আরবে। সুদানের রাজধানী খার্তুম এবং এর আশেপাশের এলাকাসহ দারফুরের জেনেইনা এলাকাতেও লড়াই চলছে। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় গত বৃহস্পতিবার সমঝোতা হওয়ার পরও সুদানের বিবাদমান কোনো পক্ষেরই তা মেনে চলার তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গত দুইদিনের তুলনায় রোববারের পরিস্থিতি আরও খারাপ। এদিন সকালেই ওমডুরমানে বিমান হামলা হওয়ার কথা জানিয়েছেন রয়টার্সের সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। খার্তুমের কেন্দ্রস্থলেও তুমুল লড়াই হয়েছে। এর মধ্যেই সুদানের লড়াইয়ে লিপ্ত সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) রোববার (১৪ মে) ফের আলোচনা শুরু করে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদি আরবের জেদ্দায় এ আলোচনা শুরু হয়। বৈঠকে ইতোপূর্বে হওয়া সমঝোতা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি স্থায়ী একটি যুদ্ধবিরতি নিয়েও আলোচনা হবে, যাতে একটি বেসামরিক সরকার গঠনের পট প্রস্তুত হয়। ঊর্ধ্বতন এক সৌদি কূটনীতিক জানান, আরব লীগ-এর জেদ্দা শীর্ষ সম্মেলনে সুদানের সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান-কে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সৌদি আরব।

তবে বুরহান নিরাপত্তার কারণে সুদান ত্যাগ করবেন না বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্য দুই কূটনীতিক। বুরহানকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণ হল, তিনি সুদানের সার্বভৌম কাউন্সিলের প্রধান। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী আরএসএফ প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো, যিনি হেমেদি নামে পরিচিত, এ কাউন্সিলের উপ-প্রধান। সৌদি আরবের সঙ্গে এই দুইজনেরই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়েছে। ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সৌদি-নেতৃত্বাধীন জোটকে সহায়তা করতে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ সেনা পাঠানোর সময় থেকে এই ঘনিষ্ঠতা বজায় রয়েছে।

সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ত্রান সরবরাহ, নিরাপদ করিডর প্রতিষ্ঠা এবং বেসামরিক এলাকা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। সুদানে এক মাস আগে হঠাৎ শুরু হওয়া লড়াইয়ে শত শত মানুষ মারা গেছে। দুই লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে। সুদানের ভেতরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও সাত লাখ মানুষ। তাছাড়া, বাইরের শক্তিধর দেশগুলোরও এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে গোটা অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।