সাম্প্রতিক বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলার অন্তত দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন অধিকাংশ সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব রাস্তায় পায়ে হাঁটাও কষ্টকর। মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চললেও এটি যেন মরণ ফাঁদ।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জয়নাল মিয়া জানান, সুনামগঞ্জ-দোয়ারা-ছাতক সড়কের মান্নারগাঁও এলাকার পুটিপুসি সড়কের বান্দেরবাজার যাওয়ার আগে গভীর খাল হয়ে গেছে, ওখানে এখন নৌকা চলে।
এছাড়া ডাউকাখালি-ব্রাহ্মণগাঁও-আমবাড়ী সড়কে ব্যবহৃত বিটুমিন ও পাথর বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এই এলাকায় আগে রাস্তা ছিল তা এখন দেখে বোঝাই যায় না।
স্থানীয় হুমায়ুন কবির জানান, সুনামগঞ্জ-সাচনা-জামালগঞ্জ সড়কের খুব খারাপ অবস্থা। রাস্তাটিতে অনেক বড় বড় গর্ত রয়েছে এবং চারদিকে পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যার ফলে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মোটরসাইকেল চালক জগন্নাথ রায় জানান, সাচনাবাজার থেকে সড়কপথে সুনামগঞ্জ যেতে মাত্র ৪০ মিনিট সময় লাগলেও একই যাত্রায় এখন প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগছে।
সুনামগঞ্জ-দিরাই-শাল্লা সড়ক ও বিশ্বম্ভরপুর-রাধানগর-চালবাঁধ সড়কের অবস্থাও একই, সর্বত্র বড় বড় গর্ত এবং অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, জেলার সদর ও অন্যান্য উপজেলার মধ্যে প্রায় ১৮৪ কিলোমিটার সড়ক ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘৩০টি সেতু ও কালভার্টের অ্যাপ্রোচ ভেঙে গেছে। ৩০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় জেলার প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মোট ১২০টি সেতু ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি সড়ক পথ নষ্ট হয়ে গেছে।’
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক