সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের আওতাধীন খুলনা রেঞ্জে প্রতিনিয়ত হরিণ শিকারির অপতৎপরতা বেড়েই চলেছে। সুন্দরবন রক্ষা করতে বন বিভাগের টহল টিমের সঙ্গে বিশেষ টহল টিম স্মার্ট প্যাট্রল প্রতিনিয়ত দায়িত্ব পালন করলেও অদৃশ্য কারণে হরিণ শিকার কমছে না।
সম্প্রতি কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর কয়রা গ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে দুদিনের ব্যবধানে সাত কেজি হরিণের গোশতসহ এক শিকারিকে আটক করেছে কয়রা থানা পুলিশ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় দিকে পাচারকালে কয়রা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৪নং কয়রা গ্রামের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী রুহুল আমিন সানাকে চার কেজি হরিণের গোশতসহ আটক করা হয়। এর আগে ১৭ আগস্ট গভীর রাতে তিন কেজি হরিণের গোশত উদ্ধার করেন কয়রা থানা পুলিশ।
এছাড়া গত ৫ জুন সুন্দরবনে অভিযান চালিয়ে জবাই করা দুটি হরিণ, একটি নৌকা ও হরিণ ধরার ফাঁদ উদ্ধার করেন কয়রার হড্ডা বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান।
অভিযোগে জানা গেছে, বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা চোরা শিকারিদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তাদের যোগসাজশে এই শিকারি চক্র হরিণের গোশত নিয়ে উপজেলার ৪ ও ৬ নম্বর কয়রা এলাকা দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে।
পশ্চিম বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হাসানুর রহমান বলেন, আমাদের টহল টিম নিয়মিত পাহারা দেয়। সুযোগ বুঝে তাদেরকে ফাঁকি দিয়ে এই চক্র হরিণ শিকার চালিয়ে যাচ্ছে। বন বিভাগের সদস্য কম থাকায় তারা সুযোগটা বেশি পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি এম এস দোহা বলেন, কিছু অসাধু কারবারি হরিণ শিকার করে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে প্রতিনিয়ত কয়রা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। সম্প্রতি হরিণের গোশতসহ একজনকে আটক করে বন্য প্রাণী নিধন আইনে মামলা করা হয়েছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি