স্পোর্টস ডেস্ক :
৬ উইকেট হাতে নিয়েও শেষ ২ ওভারে ১৩ রানের সমীকরণ মেলাতে পারল না খেলাঘর। শুভাগত হোম ও আবু জায়েদ দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ গেল সুপার ওভারে। সেখানে জিতে সুপার লিগ নিশ্চিত হলো মোহামেডানের। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে বৃষ্টির জন্য ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১০ ওভারে। আবদুল মজিদের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে মোহামেডান করে ৯ উইকেটে ৮৮ রান। খেলাঘর ৫ উইকেট হারিয়ে থামে ৮৮ রানে। মূল ম্যাচে শেষ ওভারে ৬ রান ডিফেন্ড করা মোহামেডানের পেসার আবু জায়েদ সুপার ওভারে দেন ১৩ রান। দুটি চারে ৪ বলে ১০ রান করেন মাসুম খান। সৈয়দ খালেদ আহমেদের করা সুপার ওভারের প্রথম বলে ছক্কায় শুরু করেন ইরফান শুক্কুর। এক বল পর স্ট্রাইক পেয়ে মজিদ নেন দুই রান। পরের বলে মারেন বাউন্ডারি। খালেদের স্লোয়ার বাউন্সারে তিনি আউট হয়ে গেলেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি মোহামেডানের। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে দলকে দুই পয়েন্ট এনে দেন শুক্কুর। এর আগে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাটিং নেয় মোহামেডান। মেহেদী হাসান মিরাজকে ছক্কায় শুরু করেন মজিদ। পরের বলে মারেন চার। উড়ন্ত এই শুরু ধরে রাখেন তিনি। কিন্তু অন্য প্রান্তে মেলেনি তেমন কোনো সহায়তা। তৃতীয় ওভারে ইফরান হোসেনকে পরপর দুই চার মারেন মজিদ। এক বল পর ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পারভেজ হোসেন। পরের দুই ওভার মিলিয়ে আসে ১১ রান। একটু ভাঁটা পড়ে রানের গতিতে। বাঁহাতি স্পিনার টিপু সুলতানের ওভারে দুই ছক্কা ও এক চারে ১৭ রান নিয়ে রানের গতিতে দম দেন মজিদ। মোহাম্মদ সাদ্দামের বলে দুই রান নিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন এই ওপেনার। ২৭ বলে ফিফটি করার পরের বলে ছক্কায় ওড়ান সাদ্দামকে। ৮ ওভার শেষে মোহামেডানের রান ছিল ৩ উইকেটে ৮৩। সেখান থেকে শেষ ২ ওভারে ¯্রফে ৫ রান যোগ করতে ৬ উইকেট হারায় দলটি। ৩০ বলে চার ছক্কা ও পাঁচ চারে ৫৭ রান করা মজিদকে থামান ইফরান। সেই ওভারে শুভাগত হোম ও নাদিফ চৌধুরিকে দ্রুত বিদায় করেন এই পেসার। সৈয়দ খালেদ আহমেদের করা শেষ ওভারে লেগ বাই থেকে আসে কেবল এক রান। রান আউট হয়ে ফিরে যান তিন ব্যাটসম্যান। মজিদ ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পারেননি মোহামেডানের কেউ। চার ব্যাটসম্যান ফিরেন শূন্য রানে। খেলাঘরের ইফরান ৯ রানে নেন ৪ উইকেট। ২৫ বছর বয়সী পেসারের টি-টোয়েন্টিতে এটাই সেরা বোলিং। আগের সেরা ছিল ২৩ রানে ৩ উইকেট। রান তাড়ায় প্রথম বলেই ইমতিয়াজ হোসেনকে হারায় খেলাঘর। আরেক ওপেনার জহুরুল ইসলাম তোলেন ঝড়। ১৫ বলে দুই ছক্কা ও তিন চারে তিনি করেন ২৮। এক চারে ১৬ বলে ১৪ রান করে ফিরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মাসুমের ব্যাটে কক্ষপথেই ছিল খেলাঘর। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু শুভাগত ও আবু জায়েদের দারুণ বোলিংয়ে এই সমীকরণ মেলাতে পারেননি দলটি। নবম ওভারে শুভাগত দেন ৭ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। আবু জায়েদের ওভার থেকে খেলাঘর নেয় পাঁচটি সিঙ্গেল, মাঝে তৃতীয় বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শাহরিয়ার কমল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ১০ ওভারে ৮৮/৯ (মজিদ ৫৭, পারভেজ ৭, শুক্কুর ৫, শামসুর ৮, শুভাগত ২, নাদিফ ০, মাহমুদুল ০, ইয়াসিন ০, তাসকিন ০*, আসিফ ০; মিরাজ ১-০-১২-০, খালেদ ২-১-৯-০, ইফরান ২-০-৯-৪, সাদ্দাম ২-০-১৮-১, মাসুম ২-০-১৭-০, টিপু ১-০-১৬-১)
খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি: ১০ ওভারে ৮৮/৫ (ইমতিয়াজ ০, জহুরুল ২৮, সাদিকুর ২, মিরাজ ১৪, মাসুম ৩৩*, কমল ৪, ফরহাদ ২*; তাসকিন ২-০-২২-২, আসিফ ২-০-১৭-১, শুভাগত ২-০-১০-১, ইয়াসিন ২-০-২০-০, আবু জায়েদ ২-০-১৪-১)
ফল: টাই, সুপার ওভারে জয়ী মোহামেডান
ম্যান অব দা ম্যাচ: আবদুল মজিদ
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা