April 26, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, March 2nd, 2022, 7:29 pm

সুবাহ’র মামলায় ইলিয়াসের জামিন শুনানি ২২ মার্চ

অনলাইন ডেস্ক :

যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের জামিন শুনানির জন্য ২২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। ইলিয়াসের স্ত্রী অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবাহ এ মামলা করেন। বুধবার (২ রা মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াত এ দিন ধার্য করেন। এদিন ইলিয়াসের জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে অসুস্থ থাকায় ইলিয়াস আদালতে উপস্থিত হতে পরেননি। এজন্য তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২২ মার্চ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত বাদীর উপস্থিতিতে ২ মার্চ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ইলিয়াস উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে রয়েছেন। গত ৩ জানুয়ারি যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে বনানী থানায় মামলাটি করেন সুবাহ। মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে সুবাহ’র সঙ্গে ইলিয়াসের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। বিয়ের সময় সুবাহ’র পরিবারের পক্ষ থেকে ইলিয়াসের চাহিদা মোতাবেক ১২ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ব্র্যান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও ইলিয়াস সন্তুষ্ট হননি। এরমধ্যে সুবাহ জানতে পারেন ইলিয়াস আগেও একাধিক বিয়ে করেছেন। এছাড়াও আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে, ইলিয়াস সুবাহ’র কাছে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গত ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবাহ’র মায়ের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবাহ’র পরিবার। পরবর্তীতে গত ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেন তিনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জেরে ওইদিন রাত ৮টার দিকে সুবাহকে শারীরিক নির্যাতন করেন ইলিয়াস। পরদিন আবারও ৮০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইলিয়াস সুবাহকে আবারও শারীরিক নির্যাতন করেন। এতে জখম হন সুবাহ। এরপর ইলিয়াস সুবাহকে ব্যাথার ওষুধের নামে অন্য ওষুধ খাওয়ান। একটু পর সুবাহ অজ্ঞান হয়ে যান। এ সুযোগে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যান।