March 28, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, March 29th, 2023, 8:45 pm

সু চির দলকে বিলুপ্ত ঘোষণা করল মিয়ানমার জান্তা

অনলাইন ডেস্ক :

নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধন না করায় নোবেলজয়ী অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিসহ (এনএলডি) ৪০টি দলকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী এনএলডি নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করেই ক্ষমতায় বসেছিল। ওই অভ্যুত্থান এবং অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে দমনপীড়ন পার্লামেন্টে আসন থাকা যেসব দলকে ভয়ঙ্কর রকম দুর্বল করে দিয়েছে, এনএলডি তার অন্যতম। নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত না হলেও মঙ্গলবার ছিল নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধন করার শেষ দিন; তার মধ্যে ৬৩টি দল স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নিবন্ধন করেছে বলে মিয়ানমারের রাষ্ট্র-পরিচালিত মায়াবতী টিভির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মায়াবতী টিভি মঙ্গলবার বিলুপ্ত ঘোষিত ৪০টি দলের নামও জানায়। নির্বাচন হলেও তা মিয়ানমারকে গভীর সঙ্কট থেকে উদ্ধার করবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। দেশটির সামরিক বাহিনীকে এখনও বিভিন্ন ফ্রন্টে জাতিগত সংখ্যালঘু ও অভ্যুত্থানবিরোধীদের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। এনএলডিসহ মূল দলগুলোকে বিলুপ্ত ঘোষণা করায় নির্বাচন হলে তাতে সামরিক বাহিনীপন্থি ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিই (ইউএসডিপি) জিতবে বলে অনুমান করা হবে। এই দলটি ২০১৫ ও ২০২০ সালের ভোটে এনএলডি-র কাছে বিপুলভাবে পরাজিত হয়েছে। ২০২০ সালের নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে অভিযোগ এনে, তার ফলকে অবৈধ বিবেচনা করে দুই বছর আগের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানে নেমেছিল সামরিক বাহিনী। ওই অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে ব্যাপক জনপ্রিয় ৭৭ বছর বয়সী সু চিসহ এনএলডির অসংখ্য সদস্যকে জেল খাটতে হচ্ছে। দুর্নীতি, গোপনীয়তা আইনের লংঘন ও বেআইনি কর্মকা-ে উসকানির দায়ে এরইমধ্যে সু চিকে ৩৩ বছরের কারাদ- দিয়েছে জান্তা সমর্থিত আদালত। এনএলডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টুন মিন্ট বলেছেন, অসংখ্য নেতাকর্মী জেলে কিংবা ‘বিপ্লবে জড়িত থাকার’ সময় এনএলডি কখনোই নির্বাচনের জন্য নিবন্ধিত হবে না। “তারা আমাদের দলকে বিলুপ্ত করুক বা না করুক, কিছু আসে যায় না। আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে দাঁড়িয়েই থাকবো,” রয়টার্সকে বলেছেন টুন মিন্ট। জান্তা যাদেরকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছ, সেই ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) বলছে, নির্বাচন আয়োজনের এখতিয়ারই নেই সামরিক বাহিনীর। “জনগণের ইচ্ছাকে যারা সম্মান করে, সেসব রাজনৈতিক দল কখনোই নিবন্ধন করবে না,” বলেছেন এনইউজির মুখপাত্র কেয়াও জ।