অনলাইন ডেস্ক :
কেউ কেউ বলেন দূরত্ব ভালোবাসা বাড়ায়। আবার অনেকের মতে, দূরত্ব নাকি বিচ্ছেদের বাহানা খোঁজে। গুঞ্জন উঠেছে, এমনটাই নাকি হতে যাচ্ছে মিথিলা-সৃজিতের ক্ষেত্রে। কেননা গত সোমবার ছিল সৃজিতের জন্মদিন। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুজনের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন সৃজিত। তবে শুভেচ্ছা জানাননি স্ত্রী মিথিলা। আর তাতেই আলোচনায় এসেছে তাদের সম্পর্কের অবনতির খবর।
ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও টালিগঞ্জের গুণী নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির প্রেমের গল্প দুই বাংলায় ছিল আলোচনার তুঙ্গে। যদিও প্রেমের ব্যাপারে সেসময় কেউই মুখ খোলেননি তারা। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেছিলেন গোপনে। কলকাতায় বিয়ে করেন সৃজিত ও মিথিলা। যদিও গোপন রাখতে চাইলেও বিষয়টি শেষ পর্যন্ত গোপন রাখা সম্ভব হয়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা হাজির হন বাড়ির সামনে। একপর্যায়ে সৃজিত সামনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে দুজনের বিচ্ছেদের গুঞ্জনও প্রবল হচ্ছে। সৃজিত ও মিথিলা নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। তাদের আগের মতো ঘনিষ্ঠভাবে আর দেখা যায় না। বিয়ের পর মেয়ে আইরাকে নিয়ে কলকাতাতেই থাকছিলেন মিথিলা। বছরখানেক পর মেয়েকে নিয়ে দেশে ফেরেন মিথিলা। ভর্তি করিয়েছেন বাংলাদেশের এক স্কুলে। কাজের সূত্রে কখনো আফ্রিকার তানজানিয়া তো কখনো ইউরোপে থাকেন মিথিলা।
সময়-সুযোগ পেলে স্বল্প দিনের জন্য ফেরেন কলকাতায়। দুজনের এই দূরত্বের কারণেই সৃজিত-মিথিলার দাম্পত্য নিয়ে ফিসফিসানির শেষ নেই। যদিও বিয়ের পর থেকেই সৃজিত-মিথিলার ডিভোর্সের গুঞ্জন চলমান। তবে এর আগে বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছিলেন মিথিলা। মিথিলা-সৃজিতের পরিচয় হয় সংগীতশিল্পী অর্ণবের একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজের মাধ্যমে। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সৃজিতের সঙ্গে বিয়ের আগে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসানের সঙ্গে মিথিলার বিয়ে হয় ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট। তাদের বিচ্ছেদ হয় ২০১৭ সালের জুলাইয়ে। দীর্ঘদিনের প্রেমের গুঞ্জন সত্য করে ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর বিয়ে করেছিলেন মিথিলা-সৃজিত।
আরও পড়ুন
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু
নেপালে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১৯২