অনলাইন ডেস্ক :
একসময় বাংলাদেশ দলে অপরিহার্য ছিলেন সাকিব আল হাসান। সাকিবকে ছাড়া বাংলাদেশ দল কল্পনাই করা যেত না। তবে সময় গড়িয়েছে অনেক, সাকিবের পারফরম্যান্সও হয়েছে কিছুটা মলিন। ব্যাটে-বলে যে সাকিবকে বাংলাদেশ এতদিন চিনতো, সেই সাকিবের এখন দেখা মিলছে না। ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে কোনো উইকেটই পাননি সাকিব। অথচ আগে দলের ট্রাম্পকার্ড ছিলেন তিনি। এই টেস্টে ব্যাট হাতে মাত্র ৫৭ রান করেছেন সাকিব। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে বল হাতে পারফর্ম করলেও ব্যাট হাতে তিনি ছিলেন একেবারেই অনুজ্জ্বল। যে কারণে এখন সাকিবের স্কোয়াডে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এমন খারাপ সময়ে সাকিবের কাঁধে আস্থার হাত রেখেছেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার মতে, যতক্ষণ দলের ক্রিকেটারদের মাঝে শতভাগ প্রস্তুতি এবং কমিটমেন্ট থাকবে ততক্ষণ খেলাতে তার কোনো আপত্তি নেই। এটা হোক সাকিব আল হাসান কিংবা হোক নাহিদ রানা। রোববার চেন্নাই টেস্টে ২৮০ রানে ভারতের কাছে হারের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে সাকিবকে নিয়েও প্রশ্ন করা হয় তাকে।
টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আসলে অধিনায়ক হিসেবে সত্যি কথা বলতে প্লেয়ারদের মধ্যে যেটা দেখি যে, শুধু সাকিব ভাই বলে না, যে কতটুকু কষ্ট করছে। কামব্যাক করার জন্য যা যা করা দরকার তা করছে কিনা। দলের প্রতি ইনটেনশনটা কীরকম। আমি চেষ্টা করি (দেখার) যে অই প্লেয়ারটা দলকে দেওয়ার জন্য কতুটুকু প্রস্তুত, ১০০% কিনা। এটা অনেকে ভাবতে পারেন হয়ত সাকিব ভাই দেখে বলছি কিন্তু জিনিসটা এরকম না। নাহিদ রানা থেকে শুরু করে মুশফিক ভাই পর্যন্ত একই জিনিস আমি দেখার চেষ্টা করি। রান করছে কি করছে না এটার থেকে জরুরি আমার কাছে লাগে তার প্রস্তুতি কেমন, দলের প্রতি চিন্তাভাবনা কেমন। সে দলকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা। এই জিনিসটা দেখে আমি খুশি। দলে যে ১৫-১৬ জন প্লেয়ার আছে সবার অই প্রস্তুতি বা কমিটমেন্ট দেখে আমি খুশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আঙুলের যে ব্যাপারটা এটা আসলে ব্যাট করার সময় গ্লাভসে একটা বল লাগে যেটা হয়ত আপনারা দেখেছেন। যে কারণে ট্যাপটা পেঁচানো। আমি আসলে কখনও কোনো প্লেয়ারের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। কারণ খেলাটা একটা টিম গেম। পুরা দলের অবদানে কিন্তু একটা ম্যাচ জেতা সম্ভব। সবাই দল হিসেবে যদি আমরা অবদান রাখতে পারতাম হয়ত আরও ভালো কিছু হতে পারত। ফলে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুব একটা চিন্তিত নই।’ চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাকিবকে ৫৩তম ওভারে বোলিংয়ে এনেছিলেন শান্ত। সাকিবের মতো বোলারকে কেন এত দেরিতে আনা হলো, তার নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। এ বিষয়ে শান্ত বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের বোলিংয়ের ব্যাপারে যা বললেন, প্রথম ইনিংসে ৩ পেসার খুবই দারুণ বোলিং করেছে। আমার প্রয়োজনই পড়েনি তাকে বোলিংয়ে আনার। এক পাশ থেকে মিরাজ ভালো বল করছিল। এটা একটা পরিকল্পনাই ছিল যত বেশি আমরা পেসারদের বল করাতে পারি। শুরুর ৬টা উইকেটও আমরা খুব তাড়াতাড়িই নিলাম। তো এইটাই প্ল্যান ছিল।’
আরও পড়ুন
সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড গড়লেন হ্যারি কেইন
তোফাজ্জল এর ন্যায় বিচার চাই : তমা মির্জা
শ্লীলতাহানির মামলা, সাক্ষ্য দিতে আদালতে পরী