অনলাইন ডেস্ক :
নাম শাহার পিরেটস। তিনি ইসরায়েলের বাসিন্দা। ইসরায়েলী বাহিনী তাকে তিনবার কারাগারে পাঠিয়েছিল। কারণ, তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অস্বীকার করেছিলেন। ইসরায়েলের অধিকাংশ বাসিন্দাকে অন্তত দুই বছরের জন্য হলেও বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হয়। শাহার এ নীতি অমান্য করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে শাহার বলেন, ‘অনেকে আমাকে দেশদ্রোহী বলেছে; তারা বলেছে, দেশের মানুষের কথা আমি ভাবি না; এ রকম নানা কথা।’ সম্প্রতি ইসরায়েলের সামরিক কারাগারে ১৮ দিন কাটিয়ে এলেন শাহার। বিবিসি ওয়ার্ল্ডে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তার বাবা-মা তাকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানাচ্ছেন। শাহার বলেন, ‘আমি সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার বিষয়ে অসম্মতি জানিয়েছি। কারণ, আমি পশ্চিম তীর ও গাজায় লাখ লাখ মানুষকে শোষণ করতে রাজি হইনি।’
ইসরায়েলে জাতীয় নিরাপত্তা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেখানে সামরিক বাহিনীতে নিতে কম বয়সেই প্রস্তুত করে তোলা হয়। এরিয়েল নামের এক যুবকের বয়স ১৮। তিনি এ বছরই ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন। তবে অনেক ইসলায়েলি রয়েছেন যারা শারিরীক, চিকিৎসা ও ধর্মীয় কারণ দেখিয়ে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন না। এ ক্ষেত্রে শাহার সেনাবাহিনীতে যোগ না দেয়ার যে কারণ দেখিয়েছেন, সেটা সচরাচর অন্যরা দেখাতে যান না। শাহার ফিলিস্তিনি ভূখ-ে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরোধীতা করেছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক লোকজনকে জিজ্ঞেস করা হয় না যে, তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে কিনা।’ শাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তার বাবা-মা। বিশেষ করে, মেয়েকে কাছে রেখে বাবা একটু বেশিই খুশি।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২