April 16, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, July 4th, 2022, 8:25 pm

সেরার লড়াইয়ে বেয়ারস্টো-মিচেল-রুট

অনলাইন ডেস্ক :

টানা পাঁচ ইনিংসে পঞ্চাশ ছাড়ানো রান, সেঞ্চুরি যেখানে তিনটি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ এই পারফরম্যান্সে জুন মাসের সেরার লড়াইয়ে জায়গা করে নিলেন নিউ জিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল। কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করা ওই সিরিজেই দুটি করে সেঞ্চুরি উপহার দেওয়া জনি বেয়ারস্টো ও জো রুটও আছেন ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায়। গত মাসের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে সোমবার পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে আইসিসি। নারী তিনজন হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মারিজান ক্যাপ ও শাবনিম ইসমাইল এবং ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার।
ড্যারিল মিচেল
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজটি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে স্বপ্নের মতো কাটে মিচেলের। দল হারলেও তিন ম্যাচে ৬ ইনিংসে সিরিজের সর্বোচ্চ ৫৩৮ রান করেন তিনি। সিরিজ সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে। প্রথম সফরকারী ব্যাটসম্যান হিসেবে ইংল্যান্ডের মাটিতে তিন বা এর কম ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাঁচশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। মিচেল ওই সিরিজে সেঞ্চুরি করেন তিন টেস্টেই। দেশের বাইরে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রতিটি টেস্টে সেঞ্চুরি করা ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান তিনি।
জনি বেয়ারস্টো
নিউ জিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পথে বড় অবদান রাখেন বেয়ারস্টো। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ২৯৮ রান তাড়ায় খেলেন ১৩৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। হেডিংলিতে দলের বিপর্যয়ে প্রথম ইনিংসে করেন ১৬২ রান। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়ায় করেন অপরাজিত ৭১। দুই সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৯৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
জো রুট
লর্ডস টেস্টে ১১৫ রানের ইনিংস উপহার দেন রুট। টেস্টে প্রথমবারের মতো চতুর্থ ইনিংসে করেন সেঞ্চুরি। পরে নটিংহ্যামে ইংলিশ সাবেক অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে আরেকটি শতক। প্রথম ইনিংসে করেন ১৭৬ রান। তৃতীয় ও শেষ টেস্টেও দলের জয়ে বড় অবদান ছিল তার। ৮৬ রান করে মাঠ ছাড়েন জয় সঙ্গে নিয়ে। তিন ম্যাচের সিরিজে দুই সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯৬ রান তার। মিচেলের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। এই সিরিজের রান বন্যায় টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
শাবনিম ইসমাইল
জুন মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বল হাতে আলো ছড়ান শাবনিম। দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার নেন ১১ উইকেট। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৬ রান নিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে জেতেন তিনি ম্যাচ সেরার পুরস্কার। পরের ম্যাচে নেন আরও তিনটি। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আরও দুর্দান্তভাবে নিজেকে মেলে ধরেন শাবনিম। ¯্রফে ৮ রান খরচায় ধরেন পাঁচ শিকার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে যা তার দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট। এই ম্যাচেও সেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতে। সিরিজ সেরাও হন তিনি।
মারিজান ক্যাপ
গত মাসে হওয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরেন ক্যাপ। টনটনে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১৫০ রান করেন তিনি। ড্র হওয়া টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রানে থাকেন অপরাজিত।
ন্যাট সিভার
ওই টেস্টে সেঞ্চুরি উপহার দেন ইংল্যান্ডের সিভারও। এক ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে খেলেন অপরাজিত ১৬৯ রানের ইনিংস। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে আইসিসি মাস সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করে। আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে। সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।