November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, April 9th, 2023, 8:39 pm

সোমবার থেকে বগুড়া স্টেডিয়ামের কার্যক্রম শুরু

অনলাইন ডেস্ক :

স্থানীয় সংগঠকদের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গত মাসে বগুড়ার শহীদ চান্দু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে লোকবল ও যন্ত্রপাতি প্রত্যাহার করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত শনিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সঙ্গে বৈঠকের পর বিসিবির পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়েছেন, বগুড়ার অবহেলিত মাঠটির দায়িত্ব আবার পূর্ণোদ্যমে নিচ্ছে বিসিবি। পরিবহনব্যবস্থার উন্নতি হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও ফিরতে পারে বগুড়ায়। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর টানা একটি টেস্ট ও পাঁচটি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয় বগুড়া স্টেডিয়ামে। এর একটি স্মরণীয়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জয়ে উৎসব করেছিল পুরো দেশ। কিন্তু একই বছরের ৫ ডিসেম্বরের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি সেখানে। ঘরোয়া ক্রিকেট হয়েছে এবং উইকেটের প্রশংসাও শোনা গেছে ক্রিকেটারদের মুখে। তবু আবাসন ও যাতায়াতের সমস্যার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় সীমাবদ্ধ থেকেছে। এরপর শুরু হয় বিসিবি ও জেলা ক্রীড়া পরিষদের মধ্যে অসহযোগিতার লড়াই। বিসিবি খেলার জন্য মাঠ চাইলে স্থানীয় সংগঠকরা স্থানীয় লিগ আয়োজন করেন! ২ মার্চ বগুড়া থেকে পাততাড়ি গোটানোর সময় এমন অভিযোগই তুলেছিল বিসিবি। মাঠের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গত শনিবার এর কর্তাদের সঙ্গে সভার পর ইসমাইল হায়দার জানিয়েছেন, ‘শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম বিসিবি টেক ওভার করছে। আজ সোমবার থেকে এর কার্যক্রম শুরু হবে। আমাদের অধীনে এনে এটাকে পরিচর্যা করতে হবে। এরপর খেলা কী হবে, কার খেলা হবে-এসব গ্রাউন্ডস কমিটি ঠিক করবে।’ বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম বলেছেন, ‘বগুড়ায় এখন হোটেলের কোনো সমস্যা নেই। আন্তর্জাতিক মানের হোটেল আছে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের ক্ষেত্রে নতুন যে ধারাগুলো এসেছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। আগে বগুড়ায় খেলা হলে বাসে যাতায়াত করতে হতো। ব্যস্ত সূচির কারণে যাতায়াতের সময় অনেক সংকুচিত হয়ে গেছে। তবে এ ব্যাপারেও ওনারা যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন, সেটা সম্ভব। এটা নিয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব।’ বগুড়ায় যাতায়াতের সমস্যা সমাধানও চন্দ্র অভিযানের মতো জটিল কোনো সংকট নয়। বগুড়ায় ২০০৫ সালে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু হলেও যাত্রীর অভাবে সেটি ২০১৫ সাল থেকে ব্যবহার করছে বিমানবাহিনী।