March 28, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, January 4th, 2023, 8:44 pm

সোমালিয়ায় বোমা হামলায় নিহত ১০

অনলাইন ডেস্ক :

সোমালিয়ার হিরান অঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠী আল শাবাবের জোড়া গাড়িবোমা হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত ও একাধিক বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। দেশটির সরকারের মিত্র একটি মিলিশিয়া বাহিনী ও স্থানীয় এক বয়োজ্যেষ্ঠ এসব জানিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার সহযোগী আল-শাবাব ২০০৭ সাল থেকেই সোমালিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। গত বছর সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্র মাকাউইজলে নামে পরিচিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী আল-শাবাবকে হিরান থেকে বের করে দিতে সক্ষম হলেও জঙ্গিগোষ্ঠীটি এখনও ওই অঞ্চলে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।“আজ সকালে দুটি বড় বিস্ফোরণে ঘুম ভেঙেছে আমাদের। আমরা দেখেছি, অনেক বাড়ি যে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। বেসামরিক, সেনা ও মাকাউইজলের যোদ্ধাসহ অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে,” বলেছেন স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ আহমেদ নুর। মাকাউইজলের মাহাস জেলার মুখপাত্র ফারাহ আবদুল্লাহিও বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। মাহাস জেলার কমিশনার মুমিন মোহাম্মদ হেলেন রাষ্ট্রীয় রেডিওকে বলেছেন, বোমাগুলোর একটির লক্ষ্য ছিল তার বাড়ি, অন্যটি আঘাত হানে কেন্দ্রীয় এক আইনপ্রণেতার বাড়িতে। আল-শাবাবের মিডিয়া কার্যালয় এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, ‘ধর্ম বিসর্জনকারী মিলিশিয়া ও সেনারা’ তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর হাসান শেখ মোহাম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিলে অগাস্ট থেকেই আল-শাবার বেশ চাপের মুখে পড়ে। দেশটির সরকারি বাহিনী ও মাকাউইজলে যুক্তরাষ্ট্র ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বাহিনীর সমর্থন পেয়ে আসছে। সরকার গত কয়েক মাসে কয়েকশ আল-শাবাব জঙ্গিকে হত্যা এবং একাধিক এলাকা দখলমুক্ত করার দাবি করেছে। তবে তাদের এসব দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। সামরিক বাহিনীর ওই অভিযান সত্ত্বেও আল-শাবাব সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সোমালিয়ায় একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে; এরইমধ্যে তারা রাজধানী মোগাদিসুতে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ও হোটেলে একাধিক হামলাও চালিয়েছে। আল-শাবাবের কারণে সোমালিয়ায় দাতা সংস্থাগুলো পর্যাপ্ত ত্রাণও পাঠাতে পারছে না, যা চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরায় বিপর্যস্ত দেশটির লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েই চলছে।