লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই একদিন আগে রোজা ও ঈদ করেন ওই পরিবার গুলো। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকার পরেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে সেইসব মুসল্লীদের মাঝে দেখা গেছে উদাসীনতা। অধিকাংশ মুসল্লিদের মুখে ছিল না ছিল মাস্ক। ছিল না সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে আকাশ মেঘলা থাকায় উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা ইমান আলী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার, সুন্দ্রহবী, কাকিনা, চাপারহাট, চন্দ্রপুর, আমিনগঞ্জ ও মুন্সীপাড়া গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের মুসল্লিরা বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা ও ঈদ করেন এসব গ্রামের মুসল্লিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থান থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে মুসল্লিরা আসছেন। কিন্তু তাদের মুখে কোনো মাস্ক ছিল না। এমনকি মসজিদের ভেতরে বসেছেন গাদাগাদি করে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখা গেছে। এসব মুসল্লির অধিকাংশই কয়েকদিন আগে থেকে এসেছেন।
এ ব্যাপারে মুন্সীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ইমান আলী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তা কেউ মানে নি।, মানুষ না মেনে চললে তো আমাদের কিছু করার থাকে না।
একদিন আগে কেন ঈদের নামাজ- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোরআন থেকে জেনে শুনে এই ঈদ আমরা পালন করে আসছি, এখানে কোনো ভুল নেই। আমাদের মত দেশের সকল মানুষের ঈদ পালন করা উচিত। তাহলে ঈদের আনন্দ আরও বেড়ে যাবে।
কালীগঞ্জ উপজেলার হাড়িশহরের মুন্সীপাড়ার ঈদগাহ মাঠের সভাপতি মাওলানা মাছুম বিল্লাহ্ বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বিগত কয়েক বছর ধরে এই এলাকার মানুষ ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবে-কদর, শবে মেরাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন। সেই হিসেবে আজ ঈদুল ফিতর পালন করা হলো।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অনেক আগে থেকে কাকিনা-তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বোতলা ও পানি খাওয়ার ঘাট এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে কিছু মানুষ। নামাজ আদায়ের সময় মুসল্লিদের নিরাপত্তায় দুজন পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি