নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০২২ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির অনলাইন আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। সরকারি স্কুলে ১০ ডিসেম্বর ও বেসরকারি স্কুল ভর্তিতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সময় বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেয়। মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন বছরের প্রথম থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। সরকারি স্কুলের অনলাইন আবেদন আগামী ১০ ডিসেম্বর রাত ১২ পর্যন্ত চলবে এবং বেসরকারি স্কুলের আবেদন ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২ পর্যন্ত করা যাবে। সরকারি স্কুলের ভর্তি লটারি আগামী ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজন করা হবে। বেসরকারি স্কুলের ভর্তি লটারি ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর নায়েম ভবন আয়োজন করা হবে। বলা হয়েছে, অভিভাবকদের দাবির প্রেক্ষিতে স্কুল ভর্তির আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে অনলাইন ভর্তি আবেদন ফরমে পিতা বা অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা মোবাইল নাম্বার যেকোনো একটি যুক্ত করে আবেদন করা যাবে। জানতে চাইলে মাউশির উপ-পরিচালক ও ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বলেন, অভিভাবকদের দাবির প্রেক্ষিতে ভর্তির আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। অনেক অভিভাবক বিদেশে থাকায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়নি বলে কেউ কেউ আবেদন করতে পারছেন না। এ ছাড়া অন্যান্য কারণে অভিভাবকদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কেউ কেউ আবেদন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি পাসপোর্ট ও মোবাইল নাম্বার যুক্ত করে আবেদন করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। উল্লিখিত যেকোনো একটি নম্বর দিয়ে এখন স্কুলে ভর্তির আবেদন করা যাবে। এ নির্দেশনা মাউশির ওয়েবসাইট ও সব জেলায় পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে গত ২৫ নভেম্বর থেকে সারাদেশের স্কুল ভর্তির আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও সে সময় বাড়ানো হয়েছে। সারাদেশে এখন পর্যন্ত সরকারি স্কুলে ১০ লাখ ৯ হাজার ১১৭টি পছন্দক্রম হিসেবে আবেদন জমা হয়েছে। বেসরকারিতে প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থীর পছন্দক্রম হিসেবে আবেদন জমা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম