অনলাইন ডেস্ক :
যেন ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান।’ আইপিএল নিলামে মিচেল স্টার্ককে পেতে গুজরাট টাইটান্স ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের লড়াইটা হলো এমনই। দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির লড়াই শেষে অঙ্কটা এমন জায়গায় গিয়ে থামল, যেখানে পৌঁছতে পারেননি আগে আর কেউ। ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে এই অস্ট্রেলিয়ান পেসারকে দলে নিল কলকাতা, আইপিএল ইতিহাসে নিলামে সবচেয়ে বেশি মূল্যে কোনো খেলোয়াড়কে কেনার রেকর্ড। দুবাইয়ে মঙ্গলবারের নিলামে ঝড় ওঠে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে নিয়েও।
২০ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে তাকে কিনে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তখন পর্যন্ত এটিই ছিল আইপিএল নিলামে কোনো ক্রিকেটারের সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়ার রেকর্ড। ঘণ্টা খানেক পরই কামিন্সকে ছাড়িয়ে নতুন ইতিহাস গড়েন আট বছর পর আইপিএলে ফিরতে যাওয়া স্টার্ক। স্টার্কের ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি।
বাঁহাতি পেসারকে পেতে শুরুতে লড়াইটা ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে। এরপর দৃশ্যপটে আসে কলকাতা। তাদের সঙ্গে লড়াই চলে গুজরাটের। শেষ পর্যন্ত সে লড়াই জেতে কলকাতাই। কামিন্সের ভিত্তিমূল্যও ছিল ২ কোটি রুপি। তাকে পেতে লড়াইয়ে নেমেছিল চেন্নাই সুপার কিংস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রয়্যাল চেলেঞ্জার্স বেঙ্গালোর ও হায়দরাবাদ। সেখানে শেষ পর্যন্ত জয় হয় হায়দরাবাদের।
কামিন্সের আগে নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়ার রেকর্ড ছিল স্যাম কারানের। ২০২৩ আসরের নিলাম থেকে ইংলিশ অলরাউন্ডারকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে কিনেছিল পাঞ্জাব কিংস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে ২০২৩ আইপিএলে খেলেননি কামিন্স। নিলামে তার আগের পারিশ্রমিক ছিল ১৫ কোটি ৫০ লাখ রুপি, ২০২০ সালে কিনেছিল কলকাতা। পেসার কামিন্সের নেতৃত্বে এই বছরটা দুর্দান্ত কাটে অস্ট্রেলিয়ার। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়, অ্যাশেজ ধরে রাখা এবং ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নেয় তারা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। স্টার্কের আইপিএল অভিষেক হয় ২০১৪ সালে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের হয়ে সেবার ১৪ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৭.৪৯ রান দিয়ে তিনি উইকেট নেন ১৪টি। একই দলের হয়ে পরের আসরে ১৩ ম্যাচে তার প্রাপ্তি ছিল ২০ উইকেট, ওভারপ্রতি রান দেন ৬.৭৬। এখন পর্যন্ত ১২১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওভারপ্রতি ৭.৪৫ রান দিয়ে স্টার্কের শিকার ১৭০ উইকেট। সবশেষ ২০১৮ সালের নিলামে স্টার্ককে ৯ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে কিনেছিল কলকাতাই। পায়ের চোটে সেবার তিনি খেলতে পারেননি।
২০২৪ আসরের নিলামে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিক্রি হন রভম্যান পাওয়েল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে ৭ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে কিনে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান ড্যারিল মিচেলকে ১৪ কোটি রুপিতে দলে নিয়েছে চেন্নাই। বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক ট্রাভিস হেডকে হায়দরাবাদ নিয়েছে ৬ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা