অনলাইন ডেস্ক :
হলিউডের ছবির দর্শকদের জন্য সময়টা বেশ ভালোই যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাবৎ দুনিয়া মেতে আছে ‘বার্বি’ এবং ‘ওপেনহেইমার’ নিয়ে। দর্শকমুখরিত সিনেমা হলগুলোতে যেন উৎসব লেগেছে। যার রেশ কাটতে না কাটতে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য আবারও এসেছে নতুন ছবির খবর। আগামী ১১ আগস্ট একসঙ্গে দু’টি হলিউডের ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্সে। একটি সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশনধর্মী ছবি ‘মেগ ২: দ্য ট্রেঞ্চ’। অন্যটি অ্যানিমেশন ছবি ‘টিনএজ মিউট্যান্ট নিনজা টার্টলস: মিউট্যান্ট মেহেম’। দু’টি ছবিই সিক্যুয়েল। রক্তপিপাসু ভয়ঙ্কর হাঙরের তান্ডব নিয়ে নির্মিত ‘মেগ ২: দ্য ট্রেঞ্চ’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন বেন হুইটলি। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় হলিউড তারকা জেসন স্ট্যাথাম।
অন্যদিকে, জনপ্রিয় কমিক চরিত্র নিয়ে ‘টিনএজ মিউট্যান্ট নিনজা টার্টলস: মিউট্যান্ট মেহেম’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন জেফ রো। ভিন্ন ভিন্ন ঘরানার ছবি দু’টি দর্শকদের মন জয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ‘মেগ ২: দ্য ট্রেঞ্চ’ ডাইনোসরের যুগের লুপ্তপ্রায় একটি বিশাল হাঙরের দেখা মেলে মাঝ সমুদ্রে। যার নাম ম্যাগালোডন। সেই বিশালাকার হাঙরের গ্রাসে যেতে শুরু করে বহু জাহাজ থেকে সাবমেরিন। বিস্ময়কর সেই হাঙরের বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াই করে এক দুঃসাহসিক ডুবুরি। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সে অভিযান সফল হয়। মারা যায় সেই ম্যাগালোডন। অধ্যায়টা সেখানে সমাপ্ত হলেও গল্প কিন্তু শেষ হয়নি। দর্শকদের জন্য আরও ভয়ঙ্কর গল্প রেখে দেন নির্মাতা। সেই গল্প নিয়েই এবার আসছে ‘মেগ ২: দ্য ট্রেঞ্চ’।
যেখানে দেখা যাবে, লুপ্তপ্রায় সেই রক্তপিপাসু হাঙর আবার ফিরে এসেছে। এবার আর ম্যাগালোডন একা নয়, সদলবলে প্রতিশোধ নিতে ফিরছে সে। সমুদ্রের তলদেশে প্রাগৈতিহাসিক কালের প্রাণীদের খাদ্যচক্র নিয়ে গবেষণারত একদল বিজ্ঞানী। যার অনিবার্য ফলাফল ম্যাগালোডন হাঙরের প্রত্যাবর্তন। এর আগেও জুরাসিক পার্ক ছবিতে আমরা দেখেছি মহাকালের অমোঘ নিয়ম নিয়ে ছেলেখেলা করলে তার কি ভয়ংকর পরিণতি হতে পারে। ‘মেগ ২’ ছবিতেও হতে চলেছে ঠিক তেমনটাই। প্রথম ছবি ‘দ্য মেগ’-এর মতো এ ছবিতেও কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যাসন স্ট্যাথাম। ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল এর প্রথম ছবি ‘দ্য মেগ’। বক্সঅফিসে যথেষ্ঠ সাফল্য পেয়েছিল স্টিভ অল্টেনের ‘মেগ: এ নভেল অফ ডিপ টেরর’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ছবিটি। ১৭৮ মিলিয়ন ডলার বাজেটের দ্য মেগ বিশ্বড়-ড়ে ব্যবসা করেছিল ৫৩০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এবারের ছবিটি আরও বড় পরিসরে নির্মিত।
এখানে দৃশ্যগুলো আরও জীবন্ত এবং শ্বাসরুদ্ধকর বলে জানিয়েছেন পরিচালক। সাফল্যের দিক থেকে এ ছবি আগের ছবিকে ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশ্বাস পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের। ‘টিনএজ মিউট্যান্ট নিনজা টার্টলস: মিউট্যান্ট মেহেম’ বিশ্বব্যাপী দারুণ জনপ্রিয় কমিক চরিত্র টিনএজ মিউট্যান্ট নিনজা টার্টলস। ১৯৮০ সালের মাঝামাঝিতে কেভিন ইস্টম্যান ও পিটার লেয়ার্ডের মাধ্যমে একটি কমিক বই সিরিজ হিসেবে এই কচ্ছপগুলোর যাত্রা শুরু। এরপর তারা পাঠকদের কাছে রীতিমতো আইকনিক চরিত্র হয়ে ওঠে। পিৎজাপ্রেমী এই কচ্ছপগুলো নিয়ে নির্মিত হয় অসংখ্য টিভি শো, ভিডিও গেম। ২০০৭ সালের গোড়ার দিকে এই নিনজাদের নিয়ে নির্মিত হয় অ্যানিমেশন সিনেমা; যা বিশ্বব্যাপী দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।
এরপর ২০১৪ সালে আরও দুটি চলচ্চিত্রের জন্য আবার লাইভ অ্যাকশনে ফিরে যায়। ২০২৩ সালে টিনএজ মিউট্যান্টরা ফিরে এসেছে নতুন অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে। এবারের গল্পের নাম ‘টিনএজ মিউট্যান্ট নিনজা টার্টলস: মিউট্যান্ট মেহেম’। গল্পে দেখা যাবে, বহু বছর ধরে পৃথিবীতে আশ্রয় নেওয়ার পর কচ্ছপ ভাইরা নিউইয়র্কবাসীর মন জয় করতে এবং সাধারণ কিশোর-কিশোরীদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করার জন্য রওনা হয়। এ সময় তাদের বন্ধুত্ব হয় এপ্রিল ও’নিলের সঙ্গে। অন্যদিকে নতুন বন্ধুরা রহস্যময় এক অপরাধ সিন্ডিকেটের কথা তাদের জানায়। তারা যখন সেই সিন্ডিকেটের সঙ্গে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করে, ঠিক তখনই মিউট্যান্টদের একটি বাহিনী তাদের ওপর আক্রমণ করে, যা কচ্ছপের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠে। তারা কি বন্ধু হবে নাকি শত্রু? এমন গল্প নিয়ে এগিয়ে যায় সিনেমাটি।
আরও পড়ুন
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু
নেপালে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১৯২