November 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, September 12th, 2021, 8:54 pm

স্ত্রীকে নির্যাতন করে চাকরি হারালেন এসআই

অনলাইন ডেস্ক :

যৌতুকের কারণে স্ত্রী নির্যাতন এবং নৈতিক স্খলনের অভিযোগে চাকরি হারালেন ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) নাছির আহম্মেদ। গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেয়া হয়। এসআই নাছির আহমেদ পাবনা শহরের কাছারি পাড়ার মোস্তাক আহম্মেদের ছেলে। পুলিশ এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে রুবিনা আক্তার রুনার সঙ্গে পাবনা শহরের কাছারি পাড়ার মোস্তাক আহম্মেদের ছেলে নাছির আহম্মেদের ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নাছির ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। এই টাকা না দেয়ায় নাছির প্রায়ই রুবিনা খাতুনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। একপর্যায়ে যৌতুক না পেয়ে অন্যান্যের যোগসাজশে নাছির তার স্ত্রী রুবিনাকে মারপিট করে আহত করেন। বিয়ের প্রায় দুই বছর পর নাছির পুলিশের এসআই পদে চাকরি পান এবং ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর ওই পদে তিনি যোগদান করেন। এদিকে যৌতুক দাবি ও মেয়েকে মারপিটের ঘটনায় রুবিনার বাবা পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৯ সালে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে এসআই নাছির আহম্মেদ, তার বাবা মোস্তাক আহম্মেদ, মা সালমা আহম্মেদ ও বোন লাকী খাতুনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নাছির আহম্মেদ গংয়ের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেন। নাছির আদালতে জামিনের জন্য হাজির হলে আদাল তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। এছাড়াও আসামি নাছির আহম্মেদ রাজশাহীর রুকু খাতুন নামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় আশক্ত বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তর নাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে এবং বিভাগীয় মামলা দায়ের করে। পরে বিভিন্ন তদন্তে নাছিরের যৌতুকের কারণে স্ত্রী নির্যাতন, পরকীয়া ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এতে পুলিশ বিভাগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়। ফলে তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়। সরকারি নিয়মে বরখাস্তকালীন সময়ের কোনো সুযোগ সুবিধা পাবেন না বলে উপ-পুলিশ কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।