নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের বৈবাহিক জীবনের ৭ বছর অতিক্রান্ত হলো। বিশেষ এই দিনে স্ত্রীর প্রতি জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডির সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে মুশফিকুরে রহিম মিতু নিজের ফেসবুকে লিখেছেন ,আলহামদুলিল্লাহ আনন্দের সঙ্গে আমাদের ৭ টি বছর পার হলো। হয়তো আমি সেই অর্থে নিখুঁত স্বামী নই, আমার ভুল রয়েছে অনেক। কিন্তু তুমি আমার নিখুঁত জীবনসঙ্গী এবং স্বর্গ থেকে পাওয়া আত্মা। তোমার কাছে কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি আমার প্রিয়তমা, ইনশাআল্লাহ আমি একজন মানুষ হিসেবে নিজের উন্নয়ন সাধন করে যাব। আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমার সঙ্গেই থেকো, তোমাকে অনেক ভালোবাসি। ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মুশফিক ও জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডির বিয়ে সম্পন্ন হয় রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে। বিয়ের অনুষ্ঠান অনেকটা ঘরোয়া পরিবেশেই হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর আর্মি গলফ গার্ডেনে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে মুশফিকের পরিবার। বাংলাদেশ জাতীয় দলের তিন ফরম্যটে মুশফিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। সেপ্টেম্বর ২০১১ থেকে রহিম জাতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন। মূলত তিনি একজন উইকেট-রক্ষক এবং মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান। ছোটখাটো গড়নের এই সদা হাস্যোজ্জ্বল খেলোয়াড়টি স্ট্যাম্পের পেছনে বকবক করার জন্য পরিচিত হয়ে আসছেন। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি তথা সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে কৃতিত্ব অর্জন করেন। বাংলাদেশের সাবেক কোচ জেমি সিডন্সের ভাষ্যমতে, “রহিমের ব্যাটিং এতটা বহুমাত্রিক যে তিনি এক থেকে ছয় পর্যন্ত যে কোন অর্ডারে খেলতে পারেন।’ মুশফিক বগুড়া জিলা স্কুল এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুশফিক ইতিহাস বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী মুশফিক ইতিহাস বিভাগে প্রথম-শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা