স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার লালমনিরহাট জেলায় ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন।
তবে পুলিশের দাবি, বিশ্বেশ্বর রায়ের ছেলে হিমাংশু চন্দ্র থানার ভেতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, শুক্রবার সকালে হিমাংশু রায়ের বাড়িতে তার স্ত্রী ছবিতা রানীর (৩০) লাশ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারসহ মৃত্যুর কারণ জানতে ওই নারীর স্বামী হিমাংশু রায়কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানার একটি রুমে তাকে রাখা হয়। সেই রুমে হিমাংশু রায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হিমাংশুর বড় ভাই সুধীর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সুস্থ ভাইকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। থানা হেফাজতে কীভাবে মারা গেল আমাদের জানা নেই। আমাদের ধারণা তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড. হিরনর্ময়ন বর্মন সাগর জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি