নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর :
“বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৬৬.৫৯ মিলিয়ন; ১.২৬% বৃদ্ধি হারে ২০৩০ সালে যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮৯.৮৮ মিলিয়ন। এই বর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার জন্য প্রতিবছর ৩.৩০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল অতিরিক্ত উৎপাদন করতে হবে। অন্যদিকে কৃষি জমির পরিমাণ, জমির উর্বরতা, ভূগর্ভস্থ পানিসহ প্রাকৃতিক সম্পদ এবং কৃষি শ্রমিক ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।তিনি বলেন পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলা করে ধানের ফলন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে ধানের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন ধান উৎপাদনে সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে উচ্চ ফলনশীল আধুনিক জাত ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফলন বাড়ানো তথা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ করা কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর অন্যতম লক্ষ্য” বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি মন্ত্রনালয় সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম ।
শনিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুর আয়োজিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সদর দিনাজপুরের সার্বিক সহযোগীতায় মোহনপুর গ্রামে ব্রি ধান৯০ ধানের জাতের ফসল কর্তন উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন ।
উল্লেখ্য, মুজিব জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে মোহনপুর গ্রামে কৃষক মোঃ আব্দুর রশিদ সরকারের এক একর জমিতে ব্রি ধান৯০ ধানের জাতের ব্লক প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হয়। ২০১৯ সালে উদ্ভাবিত ব্রি ধান৯০ জাতটিতে আধুনিক উফশী ধানের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ জাতের কান্ড শক্ত, সহজে হেলে পড়ে না এবং ধান পাকার পরও গাছ সবুজ থাকে। এ জাতের ধানের গাছের গড় উচ্চতা ১১০ সেন্টিমিটার এবং ধানের আকৃতি ব্রি ধান৩৪ এর মতো ছোট দানা বিশিষ্ট। জাতটির ফসল কর্তন করে ১৪% আদ্রতায় বিঘা (৩৩ শতাংশ) প্রতি ১৫ মণ ফলন পাওয়া যায় এবং জীবনকাল ছিল ১১৮ দিন । স্বল্প-জীবনকাল সম্পন্ন জাতটির আশানুরূপ ফলনে উপস্থিত সকলে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ কৃষক পর্যায়ে জাতটি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের মাধ্যমে দিনাজপুর অঞ্চলে কন্দাল, মসলা (পেয়াজ ও রসুন), তেল ও ডাল জাতীয় ফসলের বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনার বিষয়ে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ।
এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক, ডিএই, রংপুর অঞ্চল, কৃষিবিদ মোঃ তৌহিদুলইকবাল, কৃষিবিদ মোঃ শাহ আলম,অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), ডিএই, দিনাজপুর অঞ্চল,দিনাজপুর; কৃষিবিদ প্রদীপ কুমার গুহ, উপপরিচালক, ডিএই, দিনাজপুর; ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের প্রধান ও র্উধ্বতনবৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ রকিবুল হাসান; ড. মোঃ মাসুদ রানা, র্উধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ব্রি রংপুর; মোঃআনিছার রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ব্রি রংপুর এবং দিনাজপুর সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রফিকুজ্জামান। আরো উপস্থিত ছিলেন এআইএস, বিএডিসি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চিরিরবন্দর এবং ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জন প্রতিনিধিসহ স্থানীয় কৃষকগণ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ। উক্ত ফসল কর্তন উৎসবে কৃষক ও কৃষির সাথে সম্পর্কিত প্রায় ১০০ জন অংশগ্রহনকারী ছিলেন।##
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি