September 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, August 21st, 2023, 8:53 pm

স্বেচ্ছানির্বাসন থেকে থাইল্যান্ডে ফিরছেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা

অনলাইন ডেস্ক :

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে তিন মাস ধরে চলতে থাকা অচলাবস্থার মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা আজ মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন। থাইল্যান্ডের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিতর্কিত রাজনীতিবিদ ৭৪ বছর বয়সী থাকসিন। রাজতন্ত্র ও সামরিকপন্থিদের ঘৃণার শিকার হলেও থাকসিন সিনাওয়াত্রা তার শাসনামলে নেওয়া নীতিমালার জন্য ২০০০ সালের শুরু দিকে অনেক সাধারণ থাই জনতার গ্রামীণ জীবনে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে আস্থা অর্জন করতে পেরেছিলেন। এদিকে রাজতন্ত্রটির বিস্ফোরোন্মুখ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আগামীকাল সকাল ৯টার দিকে ১৫ বছরের স্বেচ্ছানির্বাসন থেকে থাকসিন দেশে ফিরতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে। খবর এএফপির।

গত তিন মাস প্রধানমন্ত্রী ছাড়াই চলছে থাইল্যান্ড। গত মে মাসের নির্বাচনে যুবা সমর্থনে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) অপ্রত্যাশিতভাবে জয়ী হলেও পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে দলটি রক্ষণশীলদের বিরোধিতায় এখনও সরকার গঠন করতে পারেনি। নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পিউ থাই পার্টি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন থাকসিনের মেয়ে পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, এরপর উদ্যোগ নেয় সামরিক সমর্থনপুষ্ট প্রার্থীদের নিয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠনের। যদিও নির্বাচনি প্রচারণায় এ ধরনের কাজ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দলটি। শনিবার ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার দলের সঙ্গে সমঝোতার ঘোষণা দিয়ে পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা জানান যে তার বাবা আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে দেশে এসে পৌঁছাবেন। পরে পায়েতংতার্নের ঘোষণাকে নিশ্চিত করেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা।

২০০৮ সালে তিনি ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর স্বেচ্ছানির্বাসনে দেশ ছাড়েন ও লন্ডনে পৌঁছেন। যদিও থাকসিন এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছিলেন। এমনকি দেশে ফিরলে জেলে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে তার। যদিও ক্ষমতাসীনদের ঘৃণার পাত্র হয়ে আছেন থাকসিন তবে এবারের নির্বাচনে ক্যারিশমাটিক যুব নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাতের অভাবনীয় সাফল্যের পর থাকসিনকে নিয়েই নতুন করে চিন্তভাবনা করছেন প্রভাবশালীরা। এদিকে, সামরিক সমর্থনপুষ্ট রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া প্রগতিশীল সমর্থকরা থাকসিনের পিউ থাই পার্টির প্রতি সামরিক সরকারের সঙ্গে আঁতাতের কারণে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের কথা দেশবাসী থাকসিনকে ভালবাসলেও পছন্দ করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। তারা চান না থাকসিনকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করুক আড়াল থেকে।