অনলাইন ডেস্ক :
কুয়াশায় ঢাকা ভোর। কুয়াশা ভেদ করে আসে নতুন সূর্য। বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের পর থেকেই লাখো মানুষের ঢল নামে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা-ভালোবাসার ফুলে ভরে ওঠে স্মৃতিসৌধের বেদি।
আজ বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি। দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে। সকাল সোয়া ৭টায় তারা শ্রদ্ধা জানিয়ে চলে যাওয়ার পর স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সবার জন্য।
নারী-পুরুষনির্বিশেষে সব বয়সী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বেদিতে ফুল দিয়েছেন। শহীদদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আবেগ জানিয়েছেন। রাজনীতিক, কূটনীতিক, সমাজকর্মী, সরকারি-বেসরকারি চাকুরে, শিল্পী-বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবী, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, সর্বোপরি সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত শ্রদ্ধার পুষ্পাঞ্জলিতে ঢেকে যায় বেদি।
সকাল সোয়া ৭টার দিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল সালাম জানায়। শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। কিছুটা সময় নীরবে দাঁড়িয়ে জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
ভিভিআইপি যাতায়াতের কারণে ফজরের আগ থেকেই ঢাকাণ্ডআরিচা মহাসড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচল বন্ধ করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্মৃতিসৌধে প্রতিবছর শ্রদ্ধা জানাতে আসেন এমন কয়েকজন বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে বিজয় দিবসের আনন্দ ম্লান ছিল। এবার মানুষের বাঁধভাঙা ঢল নেমেছে।
সময় যত গড়াচ্ছে, মানুষের মিছিল বাড়ছে। তবে পুরো স্মৃতিসৌধে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। অধিকাংশেরই মুখে নেই মাস্ক। এ বিষয়ে প্রবেশ পথে নেই কোনো কড়াকড়ি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লাইজু আক্তার এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে।
বিজয়ের দিনে কেমন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশই চাওয়া। আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশের স্বপ্নে প্রতিদিন ঘুম ভাঙে।’
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম