অনলাইন ডেস্ক :
গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) রাত ১২টায় শেষ হয়। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ। তবে বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় নতুন দুটি শর্তে ৫ আগস্ট রাত ১২টা থেকে ১০ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছে। র্ধিত লকডাউন শুরুর আগের দিন বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) রাজধানী ঢাকার জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক দেখা গেছে। রাস্তাঘাটে তেমন কোনও যানবাহনের চাপ দেখা যায়নি। তবে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পরিবহনের জন্য সাধারণ মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সড়কে ছিল রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরবাইক, সিএনজির চলাচল। তবে ঢাকার বাইরে থেকে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনও মানুষকে নগরীতে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। সকালে আব্দুল্লাহপুর এলাকায় দেখা গেছে, মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক, মোটরবাইক, রিকশা ও সিএনজি চলাচল করছে। কোনও গণপরিবহন চলাচল করেনি। তবে ঢাকার বাইরে থেকে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স যোগে বেশ কিছু মানুষকে নগরীতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে কোনও তল্লাশি করা না হলেও তা সংকুচিত করে রাখা হয়েছে। ফলে সেসব চেকপোস্টগুলোতে তীব্র যানজট দেখা গেছে। অপরদিকে সকালে অফিসগামী মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে।
লকডাউনের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো বন্ধ থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কর্মীদের যাতায়াতের জন্য কোনও পরিবহন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে অফিসে যেতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে হয় এসব মানুষকে। নগরীর সায়েদাবাদের চিত্রও একই দেখা গেছে। কোনও পরিবহন না পেয়ে সেখান থেকে ভ্যানগাড়িতে করে মানুষকে অফিসে যেতে দেখা গেছে। ফলে ভাড়া গুনতে হয়েছে কয়েকগুণ। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, অফিসগুলো তাদের যাতায়াতের কোনও পরিবহন ব্যবস্থা রাখেনি। সকালে কুড়িল ফ্লাইওভারের গোঁড়ায় একটি পুলিশের একটি চেকপোস্ট দেখা গেছে। তবে ট্রাফিক পুলিশের কোনও সদস্যকে সেখানে যানবাহন চেক করতে দেখা যায়নি। একই চিত্র দেখা গেছে বাড্ডা ইউরোপের সামনে। সেখানেও দুটি চেকপোস্ট রয়েছে। তাতে পুলিশ রয়েছেন কিন্তু কোনও যানবাহনকে তল্লাশি করতে দেখা যায়নি। তবে চেকপোস্টগুলো সংকোচিত থাকায় ওই এলাকায় যানজট দেখা গেছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, লকডাউনে কোনও পরিবহন চলাচল করছে না। মাঝপথে পোশাক শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে একদিনের জন্য চালু করা হয়েছিল। বর্তমানে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২