চিরাচরিত নিয়মানুসারে হযরত শাহজালাল (রহ.) উরস মোবারককে সামনে রেখে সিলেটে লাকড়ি তোড়া উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার লাকড়ি তোড়া উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত অনুরাগীর ঢল নেমেছিলো শাহজালালের দরগা প্রাঙ্গনে।
লাকড়ি তোড়া উৎসব উপলক্ষে ভক্তিমূলক গান ও বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুখরিত ছিলো গোটা মাজার এলাকা।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার জোহরের নামাজের আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজারও ভক্ত-অনুরাগীরা জড়ো হন দরগাহ প্রাঙ্গণে। নামাজের পর দরগাহে মিলাদ শেষে নাগারা বাজার সঙ্গে সঙ্গে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে হাজার হাজার শাহজালাল ভক্তের বর্ণাঢ্য মিছিল লাক্কাতোড়া চা বাগানের নির্দিষ্ট পাহাড়ের দিকে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে আবারও মিলাদ পড়া হয়। এরপরই শুরু হয় লাকড়ি সংগ্রহ। সেই লাকড়ি কাঁধে নিয়ে পুনরায় মিছিল নিয়ে দরগাহ প্রাঙ্গনে ফিরে আসেন ভক্তরা।
লাকড়ি সংগ্রহ শেষে ‘লালে লাল-শাহজালাল’ ‘শাহজালাল বাবা কি জয়’, ‘৩৬০ আউলিয়া কি জয়’ এবং ওলি আউলিয়া কি-জয়’-এ রকম নানা স্লোগান দিয়ে মিছিল করে মাজারে ফেরেন ভক্তরা। মাজারের পুকুরে লাকড়ি ধুয়ে নির্ধারিত স্থানে রেখে দেন তারা। এসব লাকড়ি বা কাঠ ২১ দিন পর অনুষ্ঠিতব্য হযরত শাহজালাল (রহ)-এর বার্ষিক উরশ শরীফের শিরনি রান্নায় ব্যবহার করা হবে।
সুফি সাধক হযরত শাহজালাল (রহ.) এর স্মৃতি বিজড়িত এ উৎসব প্রতি হিজরী বর্ষের ২৬ শে শাওয়াল পালন করা হয়।
ইতিহাসবিদরা বলেন, ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহজালাল (র.) জীবদ্দশা থেকে এভাবে লাকড়ি সংগ্রহ করা হতো। সে চিরায়ত ঐতিহ্য বিগত সাতশ’ বছর ধরে ওরসের তিন সপ্তাহ আগে ‘লাকড়ি তোড়া’ উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি