চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জোর দিয়ে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি হল রাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রের সম্পর্কের জন্য ‘সুবর্ণ সুযোগ’এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ‘যাদু হাতিয়ার’।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘চীনের অবস্থানের প্রতি তাদের বোঝাপড়া এবং সমর্থনের জন্য আমরা সেই দেশগুলোর প্রশংসা করি।’
সোমবার ঢাকার চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, যেহেতু আজকের বিশ্বে সময়ে সময়ে একতরফা গুন্ডামিমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত আরও স্পষ্ট ঐকমত্যে পৌঁছানো এবং আরও জোর দিয়ে কথা বলা, যাতে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক আইন নিয়ন্ত্রণকারী মৌলিক নিয়মগুলোকে সমুন্নত রাখতে এবং বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করা যায়।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার কথা তুলে ধরে চীন বলছে, বিশ্বে চীনের শক্তি ও কণ্ঠস্বর প্রয়োজন এবং বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে চীনের পাশে দাঁড়াবে।
রবিবার অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মধ্যে বৈঠকের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু দেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বড় হতে এবং শক্তিশালী হতে দেখতে চায় না এবং বিভিন্ন বাধা সৃষ্টির জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করে।
দুই পক্ষ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাংস্কৃতিক বিনিময় (নবায়ন) এবং সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিষয়ক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২